

ডেম্পো-র বিরুদ্ধে ম্যাচ ড্র করে আত্মবিশ্বাসে কিছুটা হলেও ধাক্কা খেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু মোহনবাগানও ডেম্পো ম্যাচে আটকে যাওয়ায় অ্যাডভান্টেজ পায় লাল-হলুদ ব্রিগেড। তারা চেন্নাই ম্যাচ জেতায় ডার্বি ড্র করলেই নকআউটে যাবে। যদিও লাল হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজো জেতা ছাড়া কিছু ভাবছেন না।
শুক্রবার সুপার কাপে মুখোমুখি হবে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল। তার আগে লাল-হলুদ কোচ অস্কার বলেন, "ডার্বির জন্য আমরা তৈরি আছি। আর এটা সম্ভব হয়েছে, কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলতে গিয়ে। ফতোরদার মাঠ ভারতের বাকি মাঠগুলোর থেকে আলাদা। এই মাঠ ৬৬ মিটার চওড়া। মনে হয় এফসি গোয়ার এএফসি ম্যাচের জন্য এমন করা হয়েছে। এখানকার মাঠ বেশ শক্ত। তবে যাই হোক না কেন, মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জিততে চাই"।
তিনি আরও বলেন, "দেশের সেরা দল মোহনবাগান। কিন্তু গত এক বছরে আমরা দুই দলের মধ্যে ব্যবধান কমাচ্ছি। তবে টানা ম্যাচ খেলায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। মোহনবাগানের ক্ষেত্রেও একই সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এক্ষেত্রে দুই দলের পরিস্থিতিই এক। ওদের একটাই সুবিধা, ওরা এই মাঠে আগে খেলেছে"।
এছাড়া অস্কার জানান, "আমাদের দলে ভারসাম্য রয়েছে। আমরা রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলব না। খেলায় যাতে ভারসাম্য বজায় থাকে, তারই চেষ্টা থাকবে। মোহনবাগানের ভারতীয় ফুটবলাররা খুবই ভালো। ওদের আটকাতে আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া বাড়াতে হবে। জানি ড্র করলেই সেমিফাইনালে যাওয়া যাবে। কিন্তু ড্রয়ের ভাবনা আমাদের ড্রেসিংরুমে নেই। কেবলমাত্র জেতার কথাই ভাবছি। কোনো অজুহাত দেবো না। মাঠে প্রমাণ করবো"।
উল্লেখ্য, শেষ ডার্বি অর্থাৎ আইএফএ শিল্ড ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতার দুই প্রধান। নির্ধারিত সময় খেলা ১-১ ব্যবধানে শেষ হয়। তবে টাই-ব্রেকারে মোহনবাগান ৫-৪ গোলে হারায় ইস্টবেঙ্গলকে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
