

আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত। অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন হরমনপ্রীতরা। ফের একবার নক-আউট প্রতিযোগিতায় জ্বলে উঠলেন ক্যাপ্টেন কৌর। ১২৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন জেমিমা রড্রিগস। আগামী ২ নভেম্বর ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হতে হবে স্মৃতি মন্ধানাদের।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক হিলি। চলতি বিশ্বকাপে সব ম্যাচ অপরাজিত থেকে সেমিফাইনালে উঠেছিল অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাট করে ৪৯.৫ ওভারে ৩৩৮ রানে শেষ হয় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। ভারতের বোলিং বিশেষ ভালো না হলেও ২টি করে উইকেট পান এন চরণী এবং দীপ্তি শর্মা। ১টি করে উইকেট নেন ক্রান্তি গৌড়, আমানজোৎ কৌর এবং রাধা যাদব।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৩ রানে ১ উইকেট হারায় ভারত। শেফালী আউট হন ১০ রানে। এরপর জেমিমা রড্রিগস এবং স্মৃতি মন্ধানা কিছুটা ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান। এরপর স্মৃতি আউট হন ২৪ রানে। ফের একবার আইসিসি নক-আউট মঞ্চে দেশের হয়ে হাল ধরেন হরমনপ্রীত কৌর। জেমিমা এবং ক্যাপ্টেন কৌর মিলে ১৬৭ রানের রেকর্ড গড়া পার্টনারশিপ করেন। ৮৮ বল খেলে ৮৯ রানে ফেরেন হরমনপ্রীত কৌর।
দীপ্তি শর্মা ১৭ বলে ২৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে রান আউট হন। রীচা ঘোষ ১৬ বলে ২৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ৮ বলে ১৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন আমনজোৎ কৌর। অন্যদিকে ১৩৪ বল খেলে ১২৭ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জেতালেন জেমিমা রড্রিগস। ভারতের হয়ে একদিনের ক্রিকেটে নিজের সর্বাধিক রানও করলেন তিনি। এর আগে তাঁর সর্বাধিক রান ছিল ১২৩।
কার্যত ইতিহাস সৃষ্টি করলেন ভারতীয় ব্যাটাররা। মহিলা বিশ্বকাপের মঞ্চে ৩৩৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে কোনও দল পারেনি, যা ভারত করে দেখাল। এর আগে ভারতের বিরুদ্ধেই চলতি বিশ্বকাপে ৩৩১ রান চেজ করে রেকর্ড গড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সেই রেকর্ড অক্ষত থাকল না। এছাড়া আইসিসি ইভেন্টে ভারতের হয়ে সর্বাধিক রানের পার্টনারশিপের মালিক হলেন হরমনপ্রীত কৌর এবং জেমিমা রড্রিগস (১৬৭)। এর আগে ২০১৭ সালে হরমনপ্রীত এবং দীপ্তি শর্মা অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালেই ১৩৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েছিলেন।
আগামী ২ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলবে ভারত। এখনও পর্যন্ত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি ভারতের মহিলা ব্রিগেড। ইতিহাস সৃষ্টি করতে মরিয়ে হরমনপ্রীত কৌররা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
