

ভারতীয়দের কাজের সময় বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করলেন ভারতের জি-২০ শেরপা তথা নীতি আয়োগের প্রাক্তন সিইও অমিতাভ কান্ত। তাঁর মতে সপ্তাহে ৮০-৯০ ঘন্টা কাজ করা উচিত। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।
বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেছেন অমিতাভ কান্ত। তিনি বলেন, "আমি কঠোর পরিশ্রমে বিশ্বাস করি। ভারতীয়দের সপ্তাহে ৮০-৯০ ঘণ্টা কাজ করা উচিত। যদি আমরা ৪ ট্রিলিয়ন থেকে ৩০ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পৌঁছাতে চাই, তাহলে আমাদের বিনোদন বা চলচ্চিত্র তারকাদের কথা শোনা বন্ধ করতে হবে এবং কঠোর পরিশ্রমে মনোনিবেশ করতে হবে।"
কিছুদিন আগেই ডেমোক্র্যাটদের আক্রমণ করতে গিয়ে টেসলা কর্তা এলন মাস্ক জানিয়েছিলেন, 'হোয়াইট হাউসের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (DOGE) সপ্তাহে ১২০ ঘন্টা কাজ করে। উন্নতির জন্য কঠোর পরিশ্রম করতেই হবে'।
এর আগে ইনফোসিসের সহ প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি সপ্তাহে ৭০ ঘন্টা কাজের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, "ভারতের কাজের উৎপাদনশীলতা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম। আমরা যদি আমাদের উৎপাদনশীলতা না বাড়াই, তাহলে আমরা এই দেশগুলির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম হব না। আমাদের দেশের নতুন প্রজন্মের উচিত সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করা।
নারায়ণমূর্তির পরেই এলঅ্যান্ডটি সংস্থার চেয়ারম্যান এস এম সুব্রহ্মণ্যম সপ্তাহে ৯০ ঘন্টা কাজের পক্ষে মত প্রকাশ করেছিলেন। ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, "বাড়িতে এতক্ষণ থেকে কী করবে মানুষ? কতক্ষণ একজন স্বামী তাঁর স্ত্রীর মুখ দেখবেন? একজন স্ত্রীই বা কতক্ষণ বাড়ি বসে তাঁর স্বামীর মুখ দেখতে পারবেন? তার চেয়ে ভাল হয় সকলে অফিসে গিয়ে কাজ করুন। তাতে জীবনে উন্নতি হবে।’’
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন