
ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তি, এল অ্যান্ড টি-র চেয়ারম্যান এস এম সুব্রহ্মণ্যমের পর এবার এলন মাস্ক। সপ্তাহে কর্মীদের কাজের সময় বৃদ্ধির হয়ে সম্প্রতি সওয়াল করেছেন ধনকুবের মাস্ক। তাঁর মতে সপ্তাহে ১২০ ঘন্টা কাজ করা উচিত।
সম্প্রতি ডেমোক্র্যাটদের আক্রমণ করতে গিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মাস্ক লেখেন, "হোয়াইট হাউসের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (DOGE) সপ্তাহে ১২০ ঘন্টা কাজ করছে। আমাদের আমলাতান্ত্রিক বিরোধীরা সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা কাজ করে। তাই তাঁরা দ্রুত পরাজিত হচ্ছে"।
মাস্কের এই মন্তব্যেরই পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। একজন লেখেন, "প্রযুক্তি শিল্পের সবচেয়ে খারাপ দিক হল অতিরিক্ত পরিশ্রমের পরেও সেই কর্মীটি কম বেতন পান। তারপর তাঁদের দলে দলে ছাঁটাই করা হয়। লাভবান হন কেবল সংস্থার মালিকরা"।
অন্য এক এক্স মাধ্যম ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের হয়ে কাজ করার সময় আমি শিখেছি যে অননুমোদিত ওভারটাইম কাজ করা অবৈধ। এটি করার ফলে সরকারকে অর্থ প্রদান করতে হয়। কারণ দাসত্ব বেআইনি। তাহলে DOGE-তে ফেডারেল কর্মীরা কীভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা একাধিক শিফটে বেআইনিভাবে কাজ করে চলেছেন?
এর আগে ইনফোসিসের সহ প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি সপ্তাহে ৭০ ঘন্টা কাজের হয়ে সওয়াল করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, "ভারতের কাজের উৎপাদনশীলতা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম। আমরা যদি আমাদের উৎপাদনশীলতা না বাড়াই, তাহলে আমরা এই দেশগুলির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম হব না। এই দেশগুলি অসাধারণ উন্নতি করেছে। আমাদের দেশের নতুন প্রজন্মের উচিত সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করা। তবেই দেশে কর্মসংস্কৃতির পরিবেশের উন্নতি ঘটবে"।
নারায়ণমূর্তির পরেই এলঅ্যান্ডটি সংস্থার চেয়ারম্যান এস এম সুব্রহ্মণ্যম সপ্তাহে ৯০ ঘন্টা কাজের দাবি করেছিলেন। ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘রবিবার আমদের সমস্ত কাজ বন্ধ থাকে। এর জন্য আমার আফসোস হয়। যদি রবিবার অফিস খোলা থাকত, আমিও কাজ করতাম এবং আপনাদের দিয়ে কাজ করাতাম তাহলে খুশি হতাম। বাড়িতে এতক্ষণ থেকে কী করবে মানুষ? কতক্ষণ একজন স্বামী তাঁর স্ত্রীর মুখ দেখবেন? একজন স্ত্রীই বা কতক্ষণ বাড়ি বসে তাঁর স্বামীর মুখ দেখতে পারবেন? তার চেয়ে ভাল হয় সকলে অফিসে গিয়ে কাজ করুন। তাতে জীবনে উন্নতি হবে।’’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন