ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক সমকামী মেজরের জীবন নিয়ে ছবি করার অনুমতি দিল না প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। চিত্রনাট্য বাতিল করে দিল মন্ত্রক। এমনটাই দাবি চিত্র পরিচালক ওনিরের।
ওনির তাঁর জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী ছবি 'আই অ্যাম'-এর সিক্যুয়েল তৈরি করতে চেয়েছিলেন। ছবিতে ওনির এক মেজরের বাস্তব জীবনের লড়াইয়ের কথা তুলে ধরতে চেয়েছিলেন, যাঁকে তাঁর যৌন পরিচয়ের জন্য চাকরি ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ১৬ ডিসেম্বর এই ছবির জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অনুমতি চেয়ে ইমেইল করেন ওনির। ১৯ জানুয়ারি সেনাবাহিনীর স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশন শাখার অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল লেফটেন্যান্ট কর্নেল শচীন উজ্জ্বল মেইল মারফত ওনিরকে জানান, তাঁর পাঠানো স্ক্রিপ্টে অনুমোদন দেয়নি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের জুলাই মাসে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানায়, কোনো ছবি, ডকুমেন্টারি বা ওয়েব সিরিজে সেনাবাহিনীর প্রসঙ্গ থাকলে ছবি সম্প্রচারের আগে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছ থেকে 'নো অবজেকশন সার্টিফিকেট' নেওয়া বাধ্যতামূলক।
ওই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদকের ট্যুইট রিট্যুইট করে পরিচালক ওনির লেখেন, "স্বাধীনতার ৭৫ বছর হয়ে গেছে। ৩ বছরেরও বেশি সময় আগে দেশের সুপ্রিম কোর্ট সমকামিতাকে বৈধ ঘোষণা করেছে। কিন্তু সমাজে সমকামিতা স্বীকৃতি পাওয়া থেকে অনেক দূরে রয়েছে। বিশ্বের ৫৬টি দেশ যেখানে সেনাবাহিনীতে LGBTQ-দের গ্রহণ করেছে, ভারতীয় সেনাতে এখনও তা অবৈধ।"
অন্য একটি ট্যুইটে তিনি লেখেন, "সেনাবাহিনীর প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অটুট। আমি প্রার্থনা করি কেবলমাত্র যৌনতার কারণে দেশের সেবা করতে ইচ্ছুক এরকম কাউকে যেন বঞ্চিত না করা হয়।"
এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর অনেকেই ট্যুইটারে ওনিরকে সমর্থন জানিয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। অনেকে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কথাও উল্লেখ করেছেন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।