

করোনার ভ্যাকসিন তৈরির জন্য পিএম কেয়ার্স ফান্ড থেকে বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা কোন খাতে খরচ হয়েছে? তা নিয়ে উঠল প্রশ্নচিহ্ন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা করা এই বরাদ্দ নিয়ে আরটিআই আইনে জানতে চাওয়া হয় যে, সেই টাকা কে পেয়েছে? কোন সংস্থা? কোন দফতর? কোন গবেষণাগার? এসব প্রশ্নের কোনও উত্তর মেলেনি। আবেদনপত্র শুধু দফতর থেকে দফতর ঘুরেছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর, নীতি আয়োগ, আইসিএমআর - দায় এড়িয়েছে সকলেই। শেষপর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাল যে, টিকার জন্য পিএম কেয়ার্স ফান্ড কোনও টাকাই দেয়নি। তাহলে ১০০ কোটি টাকা কোথায় গেল?
গত বছরের জুলাই মাস থেকে ভারতীয় নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কমোডর লোকেশ বাত্রা আরটিআই আইনে বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা কোন খাতে খরচ হয়েছে তা জানতে চেয়ে একাধিক আবেদন করেছেন। জবাবে একদিকে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) বলেছে, ‘আমরা টাকা পাইনি।’ অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, পিএম কেয়ার্স ফান্ড আরটিআইয়ের আওতাভুক্ত নয়। তাই জবাব দেওয়া হবে না। কেন্দ্রের ডিপার্টমেন্ট অব বায়োটেকনোলজিও আবেদনপত্রটি নীতি আয়োগে পাঠালে সেখান থেকে যায় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে। সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন জানায়, ভ্যাকসিন নির্মাণে অর্থবরাদ্দের কাজ তারা করে না।
কংগ্রেসের দাবি, এই আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্ত সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান বিচারপতির নজরদারিতে হওয়া উচিত।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন