

প্রথমে উত্তরাখণ্ড তারপর গুজরাট, ইডেনে দুটো ম্যাচেই বাংলার জয়ের নায়ক মহম্মদ শামি। কিছু দিন আগেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতীয় স্কোয়াডে রাখা হয়নি শামিকে। যা নিয়ে নাম না করেই অজিত আগরকরকে কটাক্ষ করেছিলেন শামি। পাল্টা শামির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন অজিত।
বল হাতে যোগ্য জবাব দিলেন শামি। ২ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিলেন তিনি। আর গুজরাট ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসে তো শামিই নায়ক। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি একাই নিলেন ৫ উইকেট। দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ৮ উইকেট নেন তিনি। আরেক নির্বাচক আরপি সিং ইডেনেই গুজরাট ম্যাচ দেখেন। শামির সঙ্গে আলোচনা করেন। ১৪ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে শামি দলে থাকতে পারেন। প্রথম টেস্টই ইডেনে।
দলকে জিতিয়ে শামি বলেন, 'BCCI-এর পক্ষ থেকে প্লেয়ারদের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে বলা হয়েছে এতে অন্যায় দেখি না। জাতীয় দলে খেলার জন্য নির্বাচকরা ফিট প্লেয়ার চান। দলকে জেতানোই আমার কাজ, এতদিন ধরে এটাই করে আসছি। আমি আমার কাজটা করেছি, বাকিটা নির্বাচকদের হাতে। বারবার বলেছি বেঙ্গলের শক্তি পেস বোলিং, দলে একাধিক সেরা পেসার আছেন। আমাদের পেস সহায়ক উইকেট দরকার। যেটা পাইনি। আশা করছি ভবিষ্যতে পেস সহায়ক উইকেট পাবো'।
বাংলা দলের কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা শামির বোলিং নিয়ে বলেন, ‘যার কেরিয়ারে ৫০০-রও বেশি উইকেট আছে তাঁকে আর কী প্রমাণ করতে হবে? এতদিন ধরে তো প্রমাণ করে এসেছে। তবে শামি দেখাল ও কেন বাকিদের থেকে আলাদা। এবারে তো ওকে নিয়ে নেওয়া হোক জাতীয় দলে।'
উল্লেখ্য, ইডেনে গুজরাটকে ১৪১ রানে হারালো বাংলা। প্রথমে ব্যাট করে বাংলা তোলে ২৭৯। জবাবে গুজরাট ব্যাটিং শেষ হয় ১৬৭ রানে। শাহবাজ আহমেদ নেন ৬ উইকেট। এরপর ৮ উইকেটে ২১৪ তুলে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে বাংলা। চতুর্থ অর্থাৎ শেষদিন কাজ বেশ শক্ত ছিল বাংলার। তবে গুজরাট ব্যাটিংয়ে ধস নামান শামি। তিনি ছাড়াও শাহবাজ ৩টি এবং আকাশদীপ ১ উইকেট নেন। ১৮৫ রানে শেষ হয় গুজরাট।
এলিট গ্রুপ সি-র শীর্ষে আপাতত সার্ভিসেস। তাদের ২ ম্যাচে রয়েছে ১৩ পয়েন্ট, নেট রান রেট ১.৮৯৯। হরিয়ানার রয়েছে ২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট, বাংলারও একই। তবে হরিয়ানার নেট রান রেট ১.৫৭২, বাংলার ১.৫৬১। সে কারণে বাংলা রইল তিনে। শনিবার থেকে বাংলার পরবর্তী ম্যাচ আগরতলায়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন