
প্রত্যাশিতভাবেই সিএবিতে নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিলেন না বিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত অভিষেক ডালমিয়া। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিএবি সভাপতি হতে চলছেন সৌরভ গাঙ্গুলি।
২২ সেপ্টেম্বর বার্ষিক সাধারণসভার পরে অফিসিয়ালি সৌরভ গাঙ্গুলিকে সভাপতি ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, 'যাঁরা আমাকে সমর্থন করেছেন, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। এখানে কোনও বিরোধী নেই। সকলে এই অ্যাসোসিয়েশনেরই অংশ। ১৪৬ জনই আমার কাছের লোক। সবাই মিলে এবার সিএবি চালাবে ৷ আমি নির্বাচনের জন্য তৈরি ছিলাম। গত দেড় বছর ধরে বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া বিভিন্ন জায়গায় গাড়িতে চার-সাড়ে চার ঘণ্টা যাতায়াত করে সবার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রেখেছি। কিন্তু নির্বাচন হচ্ছে না, কী আর করা যাবে।”
আগামী বছর যেহেতু টি-20 বিশ্বকাপ। বেশ কয়েক'টি ম্যাচ কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে খেলা হতে পারে। এই প্রসঙ্গে সৌরভ বলেন, "হ্যাঁ, অনেকগুলি খেলা রয়েছে। টেস্ট ম্যাচ রয়েছে, বিশ্বকাপ আছে সঙ্গে আইপিএলও। আর রয়েছে বেঙ্গল প্রো টি-20 লিগ। সবমিলিয়ে প্রচুর খেলা রয়েছে।"
ক্রিকেট প্রশাসনের দায়িত্ব সৌরভের কাছে নতুন কোনও চ্যালেঞ্জ নয়। এর আগেও তিনি সিএবি সভাপতি ছিলেন। পরে বিসিসিআই-র দায়িত্বেও যান। প্রশাসনিক দায়িত্বের এই তৃতীয় ইনিংসে নিজের সেরাটাই দিতে চান সৌরভ।
জানা যাচ্ছে নিজের ঘনিষ্ঠদেরই অ্যাপেক্স কমিটিতে রেখেছেন তিনি। অ্যাপেক্স কাউন্সিলে এলেন সৌমেন্দু চট্টোপাধ্যায় আর সুরজিৎ লাহিড়ী (জ্যাক)। মেসারার্স ক্লাবের প্রতিনিধি হয়ে সিএবিতে এলেন সৌমেন্দু চট্টোপাধ্যায়। আর বাণী নিকেতন ক্লাবের প্রতিনিধি হয়ে অ্যাপেক্সে এলেন সুরজিৎ লাহিড়ী।
সিএবির অ্যাপেক্সে মোহনবাগান ক্লাব থেকে এলেন সৌমিক বসু। আইএফএ-র প্রাক্তন সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় এলেন অ্যাপেক্সে। জোড়াবাগান ক্লাবের কর্তা এক বছরের মধ্যেই সিএবিতে এসে মহারাজের আস্থা অর্জন করে ফেলেছেন। এছাড়া বাকি সদস্যরা হলেন: বিবেক লোহিয়া, গৌতম গোস্বামী, রবি টোডি, আশিস চক্রবর্তী, কৌশিক মুখোপাধ্যায় এবং নবরতন ঝাওয়ার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন