
বাংলার ফুটবলের স্বপ্নের সওদাগর তিনি। মহামেডানকে কয়েক দশক পরে আইএফএ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন করা হোক বা মোহনবাগানকে প্রথমবার আই লিগ জেতানো সবকিছুতেই কোচ সঞ্জয় সেনই যেন নায়ক । আর এবারে বাংলাকে ৮ বছর পরে সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন করালেন চেতলার সঞ্জয়।
প্রো লাইসেন্স কোচিং করিয়েও কোনো আইএসএল দলের হেড কোচ হতে না পেরে কোচিং থেকে দূরে ছিলেন। কিন্তু সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার কোচিংয়ের দায়িত্ব পেয়ে বাংলার প্রতি ভালোবাসায় কোচিং করাতে এলেন তিনি। আর সন্তোষ ট্রফি জিতে উঠে সঞ্জয় সেন বললেন, 'এই জয় আমাদের ছেলেদের জয়। ছেলেরা অনেককিছু ত্যাগ করেছে। দীর্ঘদিন পরিবার ছেড়ে কাটায়।। প্রায় দশমীর পরের দিন থেকে অনুশীলন শুরু করি। ধন্যবাদ রবি হাঁসদাকে ওর গোলেই চ্যাম্পিয়ন হলাম।
তিনি আরও বলেন, আমরা কিন্তু গত সার্ভিসেস আর ওড়িশা ম্যাচেও শেষ মুহূর্তে ৯০ মিনিটে গোল করে জিতি। ধন্যবাদ জানাবো আইএফএ সচিব, সভাপতি আর অন্য অফিসিয়াল যারা আমার প্রতি আস্থা রেখেছেন।
সঞ্জয় সেন বলেন, কোচেস কমিটির দীপেন্দু বিশ্বাস প্রথমে ফোন করে প্রস্তাব দেয়। আমি বলি, কেন করব না। সবসময় বাংলার জন্য আছি। বাংলা দীর্ঘদিন সন্তোষ ট্রফি পায়নি। ৮ বছর বাংলার জন্য লম্বা একটা দিন। বাংলা ফুটবলের ভালোর জন্য এই জয় দরকার ছিল। আশা করছি বড়ো বড়ো দলে আমার দলের এই ছেলেরা সুযোগ পাবে।'
বাঙলার জয়ের পর মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত জানান, 'বাংলা ফুটবলের এই জয় সম্ভব হয়েছে কোচ সঞ্জয় সেনের জন্যই। ওঁর কোচিংয়ে আমরা আই লিগ জিতেছি। ওকে অনেক অনেক অভিনন্দন বাংলাকে সাফল্য দেওয়ার জন্য।'
ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন,'বাংলা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, কিন্তু মনে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আইএফএর সব কর্তাদের অভিনন্দন। আর সঞ্জয় সেন যেদিন থেকে কোচ হয়েছে জানতাম জিতবে বাংলা। কারণ বাংলা অনেকদিন ধরে জেতার চেষ্টা করছিল। সঞ্জয় সেন বড়ো কোচ, ট্যাকটিকাল দিক ভালো। ম্যানম্যানেজমেন্ট ভালো। পারসিয়ালিটি করে না।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন