
মঙ্গলবার অর্থাৎ আগামীকাল সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে নামবে বাংলা। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী কেরালা। ফাইনাল জিতে স্বপ্নপূরণ করতে চায় সঞ্জয় সেনের ছেলেরা।
আগামীকাল সন্ধ্যা ৭.৩০টা থেকে শুরু হবে সন্তোষ ট্রফির ফাইনাল। খাতায় কলমে বাংলা দল এগিয়ে থাকলেও এবারে যথেষ্ট সতর্ক বাংলা ফুটবল দল। কেরালার বিরুদ্ধে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি চান না বাংলার কোচ সঞ্জয় সেন।
২০১৯ ও ২০২২ সালের ফাইনালে কেরালার কাছে হেরে বাংলার ট্রফি হাতছাড়া হয়েছিল। সেই দুঃখজনক স্মৃতি মুছে ফেলে নতুন আশা নিয়ে ফাইনালে নামতে চান নরহরি শ্রেষ্ঠারা।
এবারে বাংলা দলে রয়েছেন রবি হাঁসদার মতো ফুটবলার, যিনি ইতিমধ্যেই সন্তোষ ট্রফিতে ১১ গোল করে ছুঁয়ে ফেলেছেন মহম্মদ হাবিবের রেকর্ড। ১৯৬৯-৭০ সালের সন্তোষ ট্রফিতে হাবিব করেছিলেন ১১ গোল। এবার ফাইনালে গোল করতে পারলেই রবি হাঁসদা এই রেকর্ড টপকে যাবেন।
তবে কেরালা দলও একইভাবে শক্তিশালী। বাংলার মতোই অপ্রতিরোধ্য মনে হচ্ছে তাদের। ফলে, বর্ষবরণের রাতে দর্শকরা একটি জমজমাট ফাইনালের সাক্ষী হতে চলেছেন।
বাংলার কোচ সঞ্জয় সেন বলেন, "আমাদের দলের ছেলেরা পরপর ম্যাচ খেলেও দারুণ পারফরম্যান্স করেছে। এবারে আর একটা ধাপ বাকি। গোটা টুর্নামেন্টে ছেলেরা যে ফুটবল খেলেছে, ফাইনালেও সেটাই খেলতে পারলে আমরা জিতব।"
উল্লেখ্য, ১৯৪১ সালে শুরু হয়েছিল সন্তোষ ট্রফি। এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সবথেকে সফল দল হল বাংলা। ৩২ বার সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলা ফুটবল দল। এছাড়া ১৪টি মরসুমে রানার্স-আপ হয় বাংলা। ১৯৪১-৪২ মরসুমে ৫-১ ব্যবধানে দিল্লিকে হারিয়ে প্রথম সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলা। ১৯৯৩-১৯৯৯ সাল পর্যন্ত টানা ৬ বার সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলা ফুটবল দল।
অন্যদিকে কেরালা ১৯৭৩-৭৪ মরসুমে প্রথম সন্তোষ ট্রফি জেতে। ১৯৯১-৯২ এবং ১৯৯২-৯৩ মরসুমে পর পর দু'বার শিরোপা জেতে কেরালা। এরপর ২০০১-০২ মরসুম, ২০০৩-০৪, ২০১৭-১৮, এবং ২০২১-২২ মরসুমে খেতাব জেতে কেরালা। মোট ৭ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারতের দক্ষিণের রাজ্যটি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন