
স্বপ্ন সফল। ৩৩ তম সন্তোষ ট্রফি জিতলো বাংলা। ৮ বছর পরে (২০১৬-১৭) সন্তোষ পেলো টিম বেঙ্গল। বছরের শেষদিনে হায়দরাবাদে অতিরিক্ত সময়ে রবি হাঁসদার গোলে ১-০ ব্যবধানে জয় পেলো সঞ্জয় সেনের ছেলেরা।
এদিন প্রথমদিকে নরহরি শ্রেষ্ঠা চোটের কারণে নামতে পারেননি। প্রথমার্ধে দুই দলই গোলের সুযোগ তৈরী করলেও গোল পায়নি কোনও দলই। দ্বিতীয়ার্ধেও টান টান উত্তেজনায় খেলা হলেও বাংলা বা কেরালা, কোনও দলই গোলের মুখ খুলতে পারেনি।
এদিন বাংলার ডিফেন্স ছিল অনবদ্য। মাঝমাঠের দখল রেখেছিলেন চাকু মাণ্ডি, আদিত্য থাপারা। দুই উইং দিয়ে আক্রমণে ওঠার দায়িত্ব ছিল আবু সুফিয়ান ও মনোতোষ মাজির। আর ম্যাচের একেবারে শেষে ৯০ মিনিটে রবি হাঁসদা জয়সূচক গোল করেন।
এদিনের গোলের পরেই রবি হাঁসদা বাংলার সন্তোষ ট্রফি ইতিহাসে এক টুর্নামেন্টে সবথেকে বেশি গোলের মালিক হলেন। টপকে গেলেন মহম্মদ হাবিবকে। ১৯৬৯-৭০ সালে সন্তোষ ট্রফিতে ১১ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন মহম্মদ হাবিব। এদিন গোল করে আনন্দে জার্সি খুলে ফেলেন রবি এবং সঙ্গে সঙ্গেই হলুদ কার্ড দেখেন। এবারের সন্তোষ জয়কে ফুটবলে বাঙলার নবজাগরণ বলেই মনে করছেন প্রাক্তনরা।
ফুটবলপ্রেমীদের আশা, এবারে বাংলার ৩ প্রধান বাইরের ফুটবলারদের জায়গায় বাংলার ফুটবলারদের কথা ভাববে। কোচ সঞ্জয় সেন আই লিগ জয়ের পরে সন্তোষ ট্রফি জয় করে এক নতুন মাইলস্টোন তৈরী করলেন।
বুধবার শহরে ফিরবে দল। রাজ্য সরকার আর আইএফএ থেকে সন্তোষ জয়ী বাংলা দলকে দেওয়া হবে সংবর্ধনা।
এবারের প্রতিযোগিতায় জোনাল পর্বে ঝাড়খন্ডকে ৪-০ গোলে হারায় বাংলা। উত্তরপ্রদেশকে হারায় ৭-০ গোলে। যদিও বিহারের সঙ্গে ম্যাচ ড্র হয়। মূলপর্বে জম্মু ও কাশ্মীরকে ৩-১, তেলেঙ্গানাকে ৩-০, রাজস্থানকে ২-০ এবং সার্ভিসেসকে ১-০ গোলে হারায় বাংলা। এই পর্বে মণিপুরের সঙ্গে ড্র হয় বাঙলার ম্যাচ। নক আউট পর্বে ওড়িশাকে ৩-১ গোলে হারিয়ে এবং সার্ভিসেসকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে যায় সঞ্জয় সেনের বাংলা দল।
সন্তোষ ট্রফিতে ব্যক্তিগত রেকর্ড গোল করে অনন্য কীর্তি গড়ার পাশাপাশি ম্যাচে সেরা এবং টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জিতে নিয়েছে রবি হাঁসদা। তাঁকে দেওয়া হয় তুলসীদাস বলরাম প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ এবং পিটার থঙ্গরাজ প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট পুরস্কার। এই দুই পুরষ্কারের অর্থমূল্য যথাক্রমে এক লক্ষ এবং এক লক্ষ টাকা।
সন্তোষ ট্রফি জয় করে বাংলা দল পাবে নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা এবং রানার্স আপ কেরালা পাবে নগদ তিন লক্ষ টাকা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন