
রবিবার এশিয়া কাপের হাইভোল্টেজ ম্যাচ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে ভারত। তবে এই ম্যাচ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিরোধী দলগুলির দাবি, ভারতের এই ম্যাচ বয়কট করা উচিত।
মাত্র পাঁচ মাস আগে, জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হন। তারপরেও কেন পাকিস্তানের সাথে ম্যাচ খেলা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে আপ, শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে)-র মতো রাজনৈতিক দলগুলি।
আপ (AAP) দিল্লিতে তাদের দফতরের সামনে পাকিস্তান-লেবেলযুক্ত কুশপুতুল দাহ করে প্রতিবাদ জানায়। আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ বলেন, “ভারত সরকার আমাদের ক্রিকেটারদের এমন নোংরা লোকেদের সঙ্গে খেলতে বাধ্য করছে, যারা আমাদের বোনেদের সিঁদুর মুছে দিয়েছে।”
শিবসেনা (UBT) প্রধান উদ্ধব ঠাকরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একসময়ের মন্তব্য উদ্ধৃত করে প্রশ্ন তোলেন, “জল (সিন্ধু নদীর) আর রক্ত একসঙ্গে বইতে পারে না, তবে রক্ত আর ক্রিকেট একসঙ্গে কীভাবে চলে? দেশপ্রেমকে ব্যবসা বানিয়ে টাকা রোজগারই এখন লক্ষ্য।”
কংগ্রেস সাংসদ ইমরান মাসুদ অভিযোগ তোলেন, “ভারত–পাক ম্যাচকে ঘিরে ব্যবসা হচ্ছে, টিকিটের দাম আকাশছোঁয়া। আমাদের বোনেদের সিঁদুর মুছে গেছে, সংসার ভেঙে গেছে, অথচ সরকার পাকিস্তানিদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলছে। লজ্জা হওয়া উচিত।”
শুধু রাজনৈতিক দলগুলিই নয়, ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পহেলগাঁও হামলায় নিহত শুভম দ্বিবেদীর স্ত্রী ঐশান্যা দ্বিবেদীও। তিনি বলেন, “পহেলগাঁওতে যে ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন, তাঁদের প্রতি ক্রিকেট বোর্ডের কোনো শ্রদ্ধা নেই। নিজেদের পরিবারের কেউ মারা যায়নি বলেই হয়তো খেলোয়াড়রা পাকিস্তানের সঙ্গে খেলছে।”
যদিও খেলার পক্ষে সওয়াল করে সংবাদমাধ্যমের সামনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, এটা কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নয়। আন্তর্জাতিক মঞ্চ। এসিসি বা আইসিসি আয়োজিত টুর্নামেন্টে ম্যাচ খেলতেই হবে। নয়তো ভারতের সমস্যা হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন