

বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণে সরব হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এবার ইস্টবেঙ্গলের মতো কলকাতার আর এক প্রধান মহামেডান স্পোর্টিংও প্রতিবাদে সরব হল।
আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে মহামেডান কর্তারা বাংলাদেশ হাইকমিশনারে গিয়ে তাঁদের প্রতিবাদ জানাবেন। মহামেডান সভাপতি আমিরুদ্দিন ববি জানান, 'বাংলাদেশে যে ঘটনা ঘটছে তার প্রতিবাদের ভাষা নেই। এই হিংসা দ্রুত বন্ধ হওয়া দরকার। আমরা গিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের কাছে ব্যাপারটা জানাবো। ব্যবস্থা নিতে বলব।'
প্রসঙ্গত সোমবারই বাংলাদেশের বিদেশ সচিবের সাথে ঢাকায় বৈঠক করেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ভালো হোক এটাই চাই। বৈঠক গঠনমূলক হয়েছে এবং ইতিবাচক। কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও মজবুত হোক। এটাই চাইব। তবে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বন্ধ করা হোক। বৈঠকে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
অন্যদিকে, মহামেডানের কার্যকরী কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হল রহিম নবি আর শেখ আজিমকে। তাঁদের জায়গায় এলেন শ্রাচী গ্রুপের কর্ণধার তথা তাঁদের ইনভেস্টর রাহুল টোডি, তমাল ঘোষাল আর প্রাক্তন ফুটবলার সাব্বির আলি। রাহুল টোডিকে ক্লাবের সহ সভাপতিও করা হল।
আমিরুদ্দিন ববি বলেন, "আমাদের দুই বিনিয়োগকারীর মধ্যে যোগাযোগের অভাব আছে। সেই সমস্যা মেটাতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নেবে ক্লাব। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে চিঠি দিয়ে ওদের বৈঠকের জন্য ডাকা হবে। সেখানেই সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হবে। যে অভাবটা হচ্ছে সেটা আমরা পূরণ করার চেষ্টা করব। যদি কোনও কারচুপি থেকে থাকে তা হলে সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা চাইছি সবাই মিলে একসঙ্গে বসে কাজ করতে"।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন