
শুরুটা ভালো করলেও নেশনস কাপে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারল না ভারত। সোমবার গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে ইরানের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হার টিম ইন্ডিয়ার। ফিফা ক্রমতালিকায় ২০ নম্বরে থাকা এবং এশিয়ার দ্বিতীয় সেরা দল ইরানকে প্রথমার্ধে ঠেকিয়ে রাখলেও দ্বিতীয়ার্ধে ভারত তিনটি গোল খায়। ২৪তম মিনিটে ভারতের প্রথম সুযোগ আসলেও ব্যর্থ হয় তারা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ইরান কয়েকটি আক্রমণাত্মক চেষ্টা চালায় এবং ৬০ মিনিটের মাথায় ফরোয়ার্ড আমিরহোসেন হোসেনজাদের গোলে লকগেট খুলে ফেলে তারা। ১-০ গোলে লিড নেয় ইরান।
সমতা ফেরানোর চেষ্টায় ভারত জিথিন এমএস এবং নাওরেম মহেশ সিংকে নামায়। মহেশ কিছু ভালো সুযোগ তৈরি করলেও প্রতিপক্ষের গোলের সামনে ভারতের কার্যকরিতা দেখা যায়নি। ৭২ মিনিটের মাথায় প্রথম পোস্টে রাহুল ভেকের কাছে হেডে গোলের সুযোগ এনে দেয় মনবীরের ক্রস। তবে তাঁর চেষ্টা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
৮৬ মিনিটের মাথায় দ্রুত গতিতে পাল্টা আক্রমণে উঠে একটি ভাল সুযোগ তৈরি করেন জিথিন। তবে মহেশের উদ্দেশ্যে বাড়ানো তাঁর থ্রু-পাসে গতি বেশি থাকায় ইরানের গোলরক্ষক পায়াম নিয়াজমন্দ সহজেই বলটির দখল নিয়ে নেন।
পরিবর্তিত খেলোয়াড় আলি আলিপৌর নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে ব্যবধান বাড়ান। সংযুক্ত সময়ে ভারতের সেরা সুযোগ আসে আনোয়ার আলি ও জিকসন সিংয়ের কাছ থেকে। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল এফসি–র দুই খেলোয়াড়ের প্রচেষ্টা অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এর পরেই সংযুক্ত সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে ইরানের তারকা ফরোয়ার্ড মেহদি তারেমি আরেকটি দুর্দান্ত আক্রমণে গোল করে ৩-০ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করেন।
ম্যাচের শেষে ভারতীয় কোচ খালিদ জামিল বলেন, "ওরা ফিফা রাঙ্কিংয়ে আমাদের থেকে এগিয়ে থাকলেও আমরা কখনওই হাল ছাড়িনি। লড়াই চালিয়েছি। তবে প্রথমার্ধের মত সেকেন্ড হাফে নিজেদের খেলা ধরে রাখতে পারিনি। আমাদের কাছে গোলের সুযোগ আসে। গোল করা উচিত ছিল। এই হার থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের ম্যাচগুলোতে নামবো।"
আগামী বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে ভারত। ওই দিনই ইরান আয়োজক তাজিকিস্তানের বিপক্ষে নামবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন