
গত বছর ডিসেম্বরে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির মাঝপথেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এবার আইপিএল থেকেও বিদায় নিলেন ভারতীয় অফস্পিনার। বুধবার সকালে নিজের সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করে অবসরের কথা ঘোষণা করেন তিনি। গত মরশুমে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেছেন অশ্বিন। ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিসিসিআই এবং আইপিএল কর্তৃপক্ষকে।
বুধবার গণেশ চতুর্থীর বিশেষ দিনটাকেই অবসরের জন্য বেছে নেন তিনি। নিজের সমাজমাধ্যমে আইপিএলের অন্যতম সেরা স্পিনার লিখেছেন, “বিশেষ দিন। তাই একটা বিশেষ শুরু। ওঁরা বলেন, প্রতিটা সমাপ্তি একটা নতুন শুরুর ইঙ্গিত। আজ আইপিএলের ক্রিকেটার হিসাবে আমার যাত্রা এখানেই শেষ হচ্ছে। আবার আজ থেকেই বিভিন্ন লিগে ক্রিকেটের অভিযাত্রী হিসাবে আমার অভিযান শুরু হচ্ছে।”
তিনি আরও লেখেন, “এত বছর ধরে দারুণ সব স্মৃতি এবং সম্পর্ক রাখার জন্য সকল ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ধন্যবাদ। আজ পর্যন্ত যা পেয়েছি, তার জন্য আইপিএল এবং বোর্ডকে ধন্যবাদ। আগামী দিনে যা সামনে আসতে চলেছে, সেটা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করার জন্য অপেক্ষা করছি।”
মনে করা হচ্ছে, বিদেশি লিগ খেলতে চাইছেন অশ্বিন। সেকারণেই ভারতের সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন তিনি। বিসিসিআইয়ের নিয়ম অনুসারে, আইপিএলে খেললে বিদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে খেলা যায় না। এছাড়া তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগে দিন্ডিগুল ড্রাগনসের হয়েও খেলেন তিনি।
২০০৮ সালে আইপিএলের অভিযান শুরু অশ্বিনের। সে সময় তিনি চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলতেন। পরে রাইজিং পুনে সুপার জায়ান্টস, কিংস ১১ পাঞ্জাব, দিল্লি ক্যাপিটালস ও রাজস্থান রয়্যালসে খেলেছেন তিনি। গত মরশুমে একদশক পর ফের ৯.৭৫ কোটি টাকা দিয়ে তাঁকে কিনেছিল চেন্নাই। কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেননি তিনি। ৯ ম্যাচে ৭ টা উইকেট পেয়েছিলেন।
সব মিলিয়ে আইপিএলে ২২১টি ম্যাচে ১৮৭টি উইকেট নিয়েছেন অশ্বিন। ব্যাট হাতে ৮৩৩ রান করেছেন তিনি। ২০১০ এবং ২০১১ সালে চেন্নাইকে পরপর দু'বার আইপিএল খেতাব জেতাতে বড় ভূমিকা রয়েছে তাঁর।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতেই চেন্নাই সুপার কিংস ছাড়তে চেয়েছিলেন তিনি। কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন, মিনি নিলামের আগে যেন তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে এর পিছনে কী কারণ রয়েছে, সেটা পরিস্কার নয়। এমনকি চেন্নাই সুপার কিংস অ্যাকাডেমির ডিরেক্টর অফ অপারেশন্স পদ থেকেও ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন অশ্বিন।
চলতি মরশুমে মাঠের বাইরেও সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আইপিএল শেষে অশ্বিনের ইউটিউব চ্যানেলে চেন্নাই-বিরোধী মন্তব্য করেছিলেন বেশ কিছু প্রাক্তন ক্রিকেটার। প্রশ্ন উঠেছিল, নিজের চ্যানেলে কেন সেই সমস্ত মন্তব্য প্রচার করছেন তিনি। যদিও পরে প্রকাশ্যে ক্ষমা চান তিনি। ভিডিওগুলোও নিজের চ্যানেল থেকে মুছে দিয়েছিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন