
পর্তুগালের জাতীয় দলের ফুটবলার দিয়োগো জোটার (Diogo Jota) মৃত্যুতে প্রভাব পড়তে পারে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে। এমনটাই জানাচ্ছেন আল-হিলালের কোচ সিমোন ইনজাঘি। কারণ আল-হিলালে দু’জন পর্তুগালের জাতীয় দলের ফুটবলার রয়েছে।
ভারতীয় সময় শুক্রবার মধ্যরাতে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্লুমিনেন্সের মুখোমুখি হবে সৌদি আরবের ক্লাব আল-হিলাল। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে নামার আগে আল-হিলালের মনোবল কার্যত দুর্বল হয়ে গেছে জোটার মৃত্যুতে। কোচ সিমোন ইনজাঘি জানান, "এই মৃত্যুতে গভীর শোকাহত জোটার জাতীয় ও ক্লাব সতীর্থরা। আল-হিলালের পর্তুগিজ ফুল-ব্যাক জোয়াও ক্যানসেলো ও মিডফিল্ডার রুবেন নেভেস - উভয়েই ছিলেন জোটার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও প্রাক্তন সতীর্থ। তাঁরা রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন। ক্লাবের পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল না"।
তিনি আরও বলেন, “আমরা সবাই জানি দিয়োগো এবং আন্দ্রের সঙ্গে যা ঘটেছে, তা এক ভয়াবহ ট্র্যাজেডি। এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না”।
আল-হিলালের লেফট-ব্যাক মোতেব আল আলহারবিও জানান, “খবরটি শুনে সকলে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের পর্তুগিজ সতীর্থদের আমরা সবরকম মানসিক সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি, তারা খেলার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকবে”।
প্রসঙ্গত, উত্তর-পশ্চিম স্পেনের জামোরাতে গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান দিয়োগো জোটা (২৮) এবং তাঁর ভাই আন্দ্রে সিলভা (২৫)। তাঁরা একটি ল্যাম্বোরগিনিতে ছিলেন। ওভারটেক করার সময় টায়ার ফেটে যাওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। গাড়িটি দূরে ছিটকে গিয়ে আগুন ধরে যায়। তাঁদের মৃত্যুতে গোটা ফুটবল জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবারের ম্যাচে আল-হিলালের পারফরম্যান্স কেমন হয়, সেটাই দেখার বিষয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন