

জয়ের হ্যাটট্রিক করেছে ইস্টবেঙ্গল। বুধবার যুবভারতীতে হায়দরাবাদ এফসিকে ২-০ গোলে হারিয়ে সুপার সিক্সের ক্ষীণ আশা বাঁচিয়ে রাখল টিম লাল হলুদ। যদিও তাকিয়ে থাকতে হবে বাকি দলগুলোর পারফরমেন্সের দিকে।
ইস্টবেঙ্গলের দুটি গোলই আসে একদম শেষ সময়ে। একাধিক গোলের সুযোগ মিস করে শেষদিকে ৮৬ মিনিটে কর্নার থেকে আসা সেলিসের শট ক্লিয়ার করতে পারেনি হায়দরাবাদ এফসি। ইস্টবেঙ্গলের ডেভিডের পায়ে লাগার পর বল মনোজ মহম্মদের পায়ে লেগে গোল হয়ে যায়।
এরপর খেলা শেষ হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে মেসি বাউলি গোল করেন। ২২ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট হল ইস্টবেঙ্গলের। ম্যাচের পরে লাল হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজোন বলেন, 'তিন সপ্তাহ আগেও দলের বাইরে অনেকে বলেছিলেন আমাদের সম্ভাবনা শূন্য শতাংশ। কিন্তু এখন দলের মধ্যে সবাই সেরা ছয়ে পৌঁছনোর স্বপ্ন দেখছে। সপ্তাহ দুয়েক আগেও আমরা ১১ নম্বরে ছিলাম। তবে আমাদের পারফরম্যান্স ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিল। আমরা অবশ্যই সেরা ছয়ে উঠতে চাই। সে জন্য অন্যান্য ম্যাচের ফলের ওপরও আমাদের নির্ভর করতে হবে। তবে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাব আমরা।'
তিনি আরও বলেন, 'সারা মরসুমে সুযোগকে গোলে পরিণত করার ক্ষেত্রে আমরা অনেক পিছিয়ে ছিলাম। অনেক সুযোগ তৈরি করেও বেশি গোল করতে পারিনি আমরা। তবে এখন মনে হচ্ছে ছবিটা বদলাচ্ছে। গত তিন ম্যাচে আমরা আট গোল করেছি। খেয়েছি মাত্র দুটো। তাই পরিসংখ্যান এখন আমাদের পক্ষে। এই ধরনের ম্যাচে, যেখানে দুই দলের মধ্যে ফারাক খুব কম, সেখানে দু-একটা সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেই তিন পয়েন্ট অর্জন করা যায়। সেজন্য ক্লিন শিট রাখাটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন