
দুই ম্যাচে জয়ের পরে আবার হারের মুখ দেখলো ইস্টবেঙ্গল। বৃহস্পতিবার ঘরের মাঠে ওড়িশা এফসির কাছে এগিয়ে গিয়েও ২-১ গোলে লজ্জার হার টিম লাল হলুদের। এই হারের ফলে ১০ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের ১১ নম্বরেই শতবর্ষ প্রাচীন ক্লাব। তবে এই ম্যাচেও বিতর্ক পিছু ছাড়লো না। জিকসনের লাল কার্ড নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন লাল-হলুদ শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার।
৪২ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন জিকসন সিং। যে সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে সমর্থকদের। আইএসএল-এ নিম্নমানের রেফারিং নিয়ে ফের সরব হলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। ম্যাচের পরে রেফারি নিয়ে বিস্ফোরক ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট। লাল হলুদ শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার জানান, 'এর মধ্যে চক্রান্ত রয়েছে। যে সব ক্ষেত্রে আমাদেরকে হলুদ কার্ড দেখতে হচ্ছে সেই সব ক্ষেত্রে বিপক্ষ দলকে ছাড় দিচ্ছেন রেফারি। এটা তো হতে পারে না। সিদ্ধান্ত নিরপেক্ষ হওয়া উচিত।'
তিনি আরও বলেন, বহু ঘটনা আছে যেখানে ফাউল হওয়া উচিত নয়, কিন্তু ফাউল হয়েছে। আমরা একটা ভুল করেছি, রেফারি নিয়োগ করতে পারিনি। হয়তো অন্যান্য দলগুলো সেটা করতে পেরেছে। এই জায়গাটায় আমাদের ব্যর্থতা আছে। চোট খেলার অঙ্গ। সেটা থাকবে। তার জন্য পরিবর্ত ফুটবলার নেওয়া যাবে। কিন্তু এরকম রেফারিং হলে কী করে হবে? এরকম রেফারিং হলে তো কিছু করতে পারব না। শুধু এই রেফারি তেজাস না, বহু চক্র আছে। আমার মনে হয়, কোনও নির্দেশাবলী থেকে হচ্ছে এগুলো। কে নির্দেশ দিচ্ছে সেটা ধরতে পারছি না। কতবার রেফারিং নিয়ে অভিযোগ জানাব? কাগজপত্র ফাইল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কিছু লাভ হচ্ছে না। দেখি এবার রাস্তায় নামতে হবে কিনা।'
ইস্টবেঙ্গল কর্তার পাশাপাশি রেফারির ভূমিকায় অসন্তুষ্ট লাল হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজোনও। তিনি বলেন, 'জিকসনের লালকার্ড মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। রেফারি আমাদের সঙ্গে ছোট ক্লাবের মতো ব্যবহার করছে। আমরা ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে খেলছি। বল আগলানোর সময় ফুটবলারদের হাতের পজিশন এরকমই থাকে। রেফারির এই বিষয়ে আরও ধারণা থাকা উচিত ছিল। কোনও বডি কন্টাক্ট হয়নি। এটা কোনওভাবে লালকার্ড নয়। আমাদের প্লেয়ারদের লালকার্ড দেখানো সহজ। আমাদের বিরুদ্ধে পেনাল্টি দেওয়া সহজ। আমাদের ন্যায্য পেনাল্টি না দেওয়া সহজ। এটা প্রথমবার হচ্ছে না। রেফারির ম্যাচের ওপর কন্ট্রোল থাকা উচিত ছিল।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন