

প্রয়াত হয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং। উদার অর্থনীতি থেকে নানান পরিকল্পনা যেমন ছিল তাঁর মাস্টারস্ট্রোক, ঠিক তেমন খেলার মাঠেও তিনি ছিলেন সমান উজ্জ্বল। তার আমলে ভারত জোড়া বিশ্বকাপ জিতেছে।
২০০৭ সালে টি-২০ বিশ্বকাপ এবং ২০১১ ওয়ান ডে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। তেমনই মনমোহন সিং-র আমলেই ২০১৩ সালে ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজ শেষবার হয়েছিল। ২০০৯ সালে মুম্বই হামলার পরও ক্রিকেটের মাধ্যমে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ঠিক করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।
২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের আগে তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিকে আমন্ত্রণ জানান মনমোহন সিং। মোহালিতে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পাশাপাশি বসে সেমিফাইনালও দেখেন। পরের বছরে ভারত সফরে খেলতে আসে পাকিস্তান। ওয়ানডে আর টি-২০ সিরিজ। ইডেন সহ ম্যাচ ভেন্যুগুলি নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে যায়।
এরপর ১২ বছর হয়ে গেল দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ দেখা যায়নি। শুধু আইসিসির টুর্নামেন্টগুলিতে এবং এশিয়া কাপে মুখোমুখি হয় দুই দেশ। জসপ্রীত বুমরাহ, বাবর আজমরা সেভাবে জানতেই পারলো না দুই দেশের ক্রিকেট উত্তেজনার চাপ।
শুধু ক্রিকেট নয় ফুটবলের জগতেও মনমোহন সিংকে দেখা যায়। ডার্বি দিয়ে ২০০৫ সালে যুবভারতীতে জাতীয় ফুটবল লিগ শুরু হয়েছিল। মনমোহন সিং কিক অফ করেছিলেন। যুবভারতীর ব্যবস্থাপনার জন্য প্রশংসাও করেন তৎকালীন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর। পরবর্তীতে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির ডাকে সাড়া দিয়ে জাতীয় লিগের উদ্বোধনও করেছেন।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দেশের শীর্ষস্তরের কোনো ফুটবল লিগে এখনও দেখা যায়নি। শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মেলবোর্ন টেস্ট ম্যাচে মনমোহনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কালো ব্যান্ড পরে মাঠে নামে টিম ইন্ডিয়া।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন