

৯২ বছরে প্রয়াত হয়েছেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু থেকে রাহুল গান্ধী সকলেই শোকজ্ঞাপন করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লির এইমস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা ১০ বছরের প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে বৃহস্পতিবারই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। চিকিৎসকদের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে রাত ৯.৫১ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, "মনমোহন সিং সেই বিরল রাজনীতিবিদদের অন্যতম যিনি পড়াশোনা এবং প্রশাসন দুটি জায়গাতেই সমান ভাবে কাজ করেছেন। ভারতের অর্থনীতির সংস্কারে তাঁর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সকলের মনে থাকবে দেশের প্রতি তাঁর অবদান"।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'বিভিন্ন সরকারের আমলে অর্থমন্ত্রী সহ নানা পদে কাজ করে আমাদের আর্থিক নীতিতে বহু বছরের ছাপ রেখে গেলেন মনমোহন সিং। সংসদে তাঁর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মানুষের জীবনের মান উন্নয়নে তাঁর ব্যাপক অবদান রয়েছে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নিয়মিত তাঁর সাথে কথা হতো।'
কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বলেন, "একজন মেন্টর ও অভিভাবককে হারালাম। প্রগাঢ় জ্ঞান ও সত্যনিষ্ঠার সাথে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মনমোহন সিং। তাঁর অর্থনীতিতে গভীর বোধ দেশকে সমৃদ্ধ করেছে"।
আরেক কংগ্রেস সাংসদ তথা গান্ধী পরিবারের কন্যা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা বলেন, ''রাজনীতিতে মনমোহন সিংহের মতো সম্মান খুব কম মানুষই পেয়েছেন। শেষ জীবন পর্যন্ত তিনি সত্যিকারের সাম্যবাদী, জ্ঞানী, দৃঢ় ইচ্ছাশক্তিসম্পন্ন এবং সাহসী ছিলেন। বিরোধীদের আক্রমণের সামনে কখনো তিনি মাথা নত করেননি। তাঁর সততাই আমাদের অনুপ্রেরণা। রাজনীতির রুক্ষ ময়দানে ভদ্রতায় তিনি ছিলেন অনন্য।"
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, "আমাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং জির আকস্মিক মৃত্যুতে গভীরভাবে স্তম্ভিত এবং দুঃখিত। তাঁর হাত ধরে অর্থনীতির উদারীকরণ দেখেছে ভারত। তাঁর সঙ্গে অনেক কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। তাঁর পাণ্ডিত্য এবং জ্ঞান ছিল প্রশ্নাতীত"।
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন শোকজ্ঞাপন করে লেখেন, "ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং জির মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রের মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একজন বিশিষ্ট রাষ্ট্রনায়কের পরিবার ও প্রিয়জনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই"।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন