
পপকর্নে বসছে জিএসটি। সদ্য জিএসটি পরিষদের বৈঠকে এই নিয়ে হওয়া আলোচনার কথা সামনে আসার পর থেকে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে। সমাজ মাধ্যমে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে নিয়ে মিমের ছড়াছড়ি। এই আবহে ব্যাখ্যা দিল অর্থ মন্ত্রক।
সম্প্রতি জয়সলমেরে বসেছিল জিএসটি পরিষদের বৈঠক। সেই বৈঠকে পপকর্নে জিএসটি নিয়ে আলোচনা হয়। জানা যায়, সেই বৈঠকে ঠিক হয়, সাধারণ নুন ও মশলা মাখানো খোলা পপকর্নে ৫% জিএসটি বসবে। সেই পপকর্ন প্যাকেটবন্দি হয়ে কোনও ব্র্যান্ডের নামে বিক্রি হলে জিএসটি বসবে ১২%।
এছাড়া, ক্যারামেল বা চকোলেট মাখানো হলে, সেই পপকর্নে জিএসটি বসবে ১৮%। যেমনটা কোনও অতিরিক্ত চিনি মেশানো খাবার বা পানীয়ের থেকে আদায় করা হয়। অর্থাৎ প্রেক্ষাগৃহের বাইরে খোলা ঠোঙায় বিক্রি হওয়া পপকর্নে জিএসটি দিতে হবে ৫%।
এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় নেট দুনিয়ায়। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে নিয়ে ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে মিমের ছড়াছড়ি। কোথাও অর্থমন্ত্রী হাতে পপকর্নের ঝুড়ি। আবার কোথাও অর্থমন্ত্রী ‘মাদার ট্যাক্সেসা’। অনেকেই রসিকতা করে বলছেন, এরপর একই খাবারের স্বাদ অনুযায়ী কর বসবে, কারণ অর্থমন্ত্রী বলেছেন, পপকর্ন নোনতা হলে এক রকম জিএসটি। মিষ্টি হলে আলাদা।
এই আবহে পপকর্নে জিএসটি –র ব্যাপার স্পষ্ট করল অর্থ মন্ত্রক। মন্ত্রকের দাবি, পপকর্নে জিএসটি বাড়েনি। আগের মতোই আছে। শুধু উত্তরপ্রদেশ থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল জিএসটি পরিষদ যেন পপকর্নে নুন-মশলা মাখানো থাকলে কী হারে কর বসবে, সেটা স্পষ্ট করে। সেই মতো প্রকাশ্যে জানানো হয়েছে।
তবে নির্মলা সীতারমণকে নিয়ে এহেন রসিকতা নিয়ে অর্থ মন্ত্রকের এক কর্তার আক্ষেপ, জিএসটি থেকে লাভবান হচ্ছে কেন্দ্র থেকে রাজ্য সবাই। এমনকি পপকর্ন নিয়ে আলোচনাতেও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্র ও রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা। কিন্তু শুধু কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ সাংবাদিক সম্মেলনে পপকর্নে জিএসটির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সকলের উপহাসের পাত্রী হলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন