
ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে দু'বছরের জন্য নির্বাসিত হলেন এটিকে মোহনবাগানের প্রাক্তন ডিফেন্ডার আশুতোষ মেহতা। বুধবার রাতে ন্যাশনাল অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সির তরফ থেকে আইএসএল খেলা আশুতোষের নির্বাসনের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আইএসএল খেলা প্রথম ফুটবলার হিসেবে ডোপ টেস্টে ব্যর্থ হলেন এই রাইট ব্যাক। তাঁর মূত্রের নমুনায় নিষিদ্ধ পদার্থ মরফিন পাওয়া গেছে।
২০২২ সালে আইএসএল অনুষ্ঠিত হয় গোয়াতে। এই টুর্নামেন্ট চলার সময়ই এই নিষিদ্ধ পদার্থ সেবন করেন আশুতোষ। ৮ ফেব্রুয়ারি হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে তিনি ডোপ টেস্টে ব্যর্থ হন। সেই জন্য তাঁকে দলে জায়গা দেওয়া হয়নি। তাঁর মূত্রের নমুনায় পাওয়া গিয়েছে মরফিন। আশুতোষ অবশ্য জানিয়েছেন তিনি ইচ্ছে করে এই ড্রাগস নেননি। তবে ন্যাশনাল অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সি তা মেনে নেননি। অ্যান্টি ডোপিং ডিসিপ্লিনারি প্যানেলের তরফে আশুতোষের নির্বাসনের কথা জানানো হয়েছে। এটিকে মোহনবাগানের প্রাক্তন ফুটবলার শাস্তি স্বীকারও করেছেন।
আশুতোষ জানিয়েছে গত মরশুমে গোয়াতে টুর্নামেন্ট চলাকালীন ব্যাথা কমানোর জন্য এক সতীর্থের কাছ থেকে ওষুধ নিয়েছিলেন আশুতোষ। তিনি জানতেন না যে তার মধ্যে নিষিদ্ধ পদার্থ রয়েছে। আয়ুর্বেদিক ব্যাথানাশক ওষুধ বলেই তাঁকে দেন ওই সতীর্থ। সেই ওষুধ থেকেই মরফিন তাঁর শরীরে প্রবেশ করেছে বলে জানান তিনি। যদিও কোন সতীর্থর কাছ থেকে এই ওষুধ নিয়েছেন তা তিনি স্পষ্ট করেননি।
২০১৭ সালে ন্যাশনাল অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সি নির্বাসিত করেছিলেন বাংলার গোলকিপার সুব্রত পালকে। কিন্তু পরবর্তীতে সুব্রত প্রমাণ করেছিলেন তিনি ইচ্ছে করে ড্রাগস নেননি। তাই তাঁর নির্বাসনের মেয়াদও কমিয়ে দিয়েছিল নাডা। আশুতোষ নিজের দোষ স্বীকার করেছেন। তাঁর কথাকে গুরুত্ব দেয়নি জাতীয় ডোপিং বিরোধী সংস্থা। ভবিষ্যতে তাঁর নির্বাসনের মেয়াদ কমবে কিনা তা সময়ই বলে দেবে।
আই লীগ এবং আইএসএল দুটোতেই দাপট দেখিয়ে খেলেছেন আশুতোষ। আই লীগের ক্লাব মুম্বই এফসির হয়ে খেলা শুরু করে আশুতোষ। কিবু ভিকুনার কোচিং-এ মোহনবাগানের আই লীগ জয়ী দলের সদস্যও ছিলেন তিনি। আইএসএলের একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি - মুম্বই সিটি এফসি, এটিকে মোহনবাগান, পুনে সিটি এফসি, নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের হয়েও খেলেছেন। ক্লাব কেরিয়ারে ২০৭ টি ম্যাচ খেলেছেন আশুতোষ।