

মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ড্র করেও সুপার কাপের নকআউটে উঠলো ইস্টবেঙ্গল। গোল পার্থক্যের বিচারে পরের রাউন্ডে উঠল অস্কার ব্রুজোনের লাল-হলুদ ব্রিগেড। অন্যদিকে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টকে দুষলেন মোহনবাগান কোচ মোলিনা।
গোয়াতে গোল করতে ব্যর্থ হল মোহনবাগান। গোলশূন্য ড্র করে সুপার কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল লাল হলুদ ব্রিগেড। বিদায় নিল মোহনবাগান। বাগান ফুটবলারদের মধ্যে তাগিদের বড় অভাব দেখা গেল। খেলা দেখে একবারও মনে হয়নি, তাঁরা জেতার জন্য খেলতে নেমেছেন। হোসে মোলিনার স্ট্র্যাটেজি নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে।
জেমি ম্যাকলারেনকে আটকে দিলো লাল-হলুদ ডিফেন্স। কোচ হোসে মোলিনা শুরু থেকে কেবল এক স্ট্রাইকারে খেললেন। লাল হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজোন যখন শেষ চারের টিকিট পেতে পাঁচ বিদেশি সমৃদ্ধ একাদশ নামালেন তখন ম্যাকলারেনকে সামনে রেখে অলড্রেট এবং আলবার্তোকে নিয়ে তিন বিদেশিতে প্রথম একাদশ সাজান হোসে মোলিনা।
প্রথমার্ধে ২৪ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের বিপিন সিং-র নিশ্চিত গোল মিস হয়। আর সেকেন্ড হাফে মোহনবাগান একাধিক গোল মিস করে। যদিও ম্যাচ ড্র করে মোহনবাগান ম্যানেজমেন্টকে দুষলেন বাগান কোচ। তিনি বলেন, "আমি প্লেয়ারদের সই করাইনি। করিয়েছে ম্যানেজমেন্ট। আমি আমার মতামত দিয়েছি মাত্র। সিদ্ধান্ত ওদের। বছরের শুরুতে একজন বিদেশি সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার চেয়েছিলাম। যে খেলাটা কন্ট্রোল করতে পারে। কিন্তু আমি পাইনি।”
তিনি আরও বলেন, "আমাদের রক্ষণ ভালো হয়েছে। তিন ম্যাচে গোল খাইনি। কিন্তু গোল করার মতো যথেষ্ট ক্ষমতা নেই আমাদের। আমরা সুযোগ তৈরি করেছি কিন্তু গোল করতে পারিনি। এই সমস্যা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে"।
ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোন বলেন, "আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে খেলার কথা বলেছিলাম ছেলেদের। শিল্ড, ডুরান্ডে যা সমস্যা হয়েছিল, সেগুলি সমাধান করতে পেরেছি আমরা। গত বছর আমরা অনেক গোল খেয়েছি। এবার আর সেটা হচ্ছে না। আমরা ম্যাচের বেশিরভাগ সময় মোহনবাগানের উপর চাপ রেখেছিলাম। ওরা শুধু শেষ ১৫ মিনিটে আমাদের চাপে রাখতে পেরেছে”।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন