

প্রয়াত প্রাক্তন ফুটবলার মহম্মদ হাবিবের পরিবারের পাশে ইস্টবেঙ্গল। শুক্রবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে ক্লাবের কর্মসমিতির সদস্য সুমন দাশগুপ্ত গিয়েছিলেন হায়দরাবাদে প্রয়াত হাবিবের বাড়িতে।
হায়দরাবাদে গিয়ে তিনি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে পাঠানো লাল হলুদ উত্তরীয়, ক্লাব পতাকা এবং প্রয়াত মহম্মদ হাবিবের স্মরণে লেখা একটি "সমবেদনা বার্তা" তুলে দেন তাঁর পরিবারের হাতে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে যেকোনও প্রয়োজনে তাঁর পরিবারের পাশে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সবসময় থাকবে, সেই বার্তাও পৌঁছে দেন সুমনবাবু।
স্বাধীনতা দিবসের দিন ৭৪ বছর বয়সে প্রয়াত হন হাবিব। অনেক আগেই কলকাতা ছেড়েছিলেন। ফিরে গিয়েছিলেন নিজের রাজ্যে হায়দরাবাদে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে পার্কিনসন রোগে ভুগছিলেন। চিকিৎসা চললেও ক্রমশই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শেষ দিকে স্মৃতি শক্তি প্রায় হারিয়েই ফেলেছিলেন মহম্মদ হাবিব।
মহম্মদ হাবিব ছয়ের দশকের মাঝামাঝি কলকাতায় এসেছিলেন। ফুটবলার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন এই কলকাতায় খেলে। ১৮ বছর বাংলায় থেকে তিন প্রধানে খেলেছেন মাথা উঁচু করে। দেশের হয়ে খেলেছেন টানা ১১ বছর। ১৯৮০ সালে পান ‘অর্জুন’ পুরস্কার। ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার পর হায়দরাবাদে ফিরে গেলেও পরে এই বাংলায় এসেছেন কোচিং করাতে। ময়দানে তিনি 'বড়ে মিঞা' নামেই পরিচিত ছিলেন। তাঁর ভাই আকবরও ছিলেন ফুটবলার। তাঁকে ময়দান 'ছোটে মিঞা' বলে ডাকতো।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন