East Bengal: রেফারি নিয়ে এবার কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর দ্বারস্থ ইস্টবেঙ্গল!
আইএসএল-এ গত মরসুম থেকেই রেফারির মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছে ইস্টবেঙ্গল। অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনকে চিঠি লিখে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই এবার কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যকে চিঠি দেবে টিম লাল হলুদ।
ইস্টবেঙ্গল সচিব রূপক সাহা বলেন, ''আমরা এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আছি যেখানে আইএসএলের প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে বিভিন্ন পরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে। এক ক্লাবের জন্য এক এক নিয়ম আর ইস্টবেঙ্গলের জন্য আর এক নিয়ম।স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের মনে হচ্ছে তাহলে কি এখনও আমাদের শরণার্থী ক্লাব হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে? নাহলে আমাদের সঙ্গেই এরকম হচ্ছে কেন? এটা আমাদেরকে কিন্তু ভাবতে বাধ্য করা হচ্ছে।''
তিনি আরও বলেন, 'এআইএফএফ-এর রেফারি দপ্তরের শীর্ষকর্তার হাস্যকর যুক্তি শুনে আমাদের মনে হচ্ছে যে প্রাক্তন ফুটবলাররা, ধারাভাষ্যকারেরা এবং ফুটবল বিশেষজ্ঞরা কিছুই বোঝেন না। গোটা বিষয়টাকে হাসির খোরাকে পরিণত করেছে যেটি ইস্টবেঙ্গলের মতো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মানা সম্ভব নয়। তবে তাঁরা যেন ভুলে না যান ভারতীয় ফুটবলের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়কে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে, অন্ধকারে নিমজ্জিত ভারতীয় ফুটবলকে আলোর দিশা দেখাতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের লড়াইয়ের তেজ কিন্তু আগের মতোই অটুট রয়েছে। আমাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় সৌভিক চক্রবর্তীকে অপ্রয়োজনীয় এবং অন্যায্য ভাবে প্রথম হলুদ কার্ড দেখানো হয়েছিল, দ্বিতীয়ার্ধে আরও একটি হলুদ কার্ড, যা তাঁর সাসপেনশনের পথ প্রশস্ত করেছিল।'
প্রসঙ্গত, ডার্বি ম্যাচে বিতর্কিত হ্যান্ডবল নিয়ে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান রেফারিং অফিসার ট্রেভর কেটল জানান, 'ফুটবলে হ্যান্ডবলের ব্যাখ্যা খুবই কঠিন। যাঁদের মূলত রেফারিং করার অভিজ্ঞতা নেই বা নিয়ম সম্পর্কে অবগত নন তাঁদের মধ্যে হ্যান্ডবলের ধারণা খুব কম। আমাদের রেফারিরা খেলার পর একাধিকবার ফুটেজটি খতিয়ে দেখেছেন। আমিও দেখেছি। সকলেরই একই সিদ্ধান্ত যে ওটা হ্যান্ডবল ছিল না। বল যদি হাতে লাগে তাহলে আগে দেখতে হবে হাতের স্থান কোথায় ছিল। হাত যদি ঠিক জায়গায় না থাকতো তাহলে অবশ্যই হ্যান্ড বল দিতে হবে। আপুইয়ার ক্ষেত্রে হাত স্থান পরিবর্তন করেনি।'
SUPPORT PEOPLE'S REPORTER
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

