
ফের কি রেফারির ভুল সিদ্ধান্তের মাশুল দিতে হলো ইস্টবেঙ্গলকে? তেমনটাই অভিযোগ ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের। ন্যায্য পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয়েছে তারা বলে অভিযোগ। এর ফলে ১-০ ব্যবধানে ডার্বি হারলো টিম লাল হলুদ। এই নিয়ে গত দশ ডার্বিতে ৯ টাই জিতলো মোহনবাগান। বাকি একটি ডার্বি ড্র হয়।
ম্যাচের শুরুতেই ২ মিনিটের মাথায় জেমি ম্যাকলারেনের গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। ৭ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের ক্লেটন সিলভা গোল করার সুযোগ পান । তিনি মোহনবাগানের বক্সে ঢুকলেও গোলে শট মারতে ব্যর্থ হন। এরপর ম্যাচের ২১ মিনিটের মাথায় মোহনবাগান দ্বিতীয় গোল করার সুযোগ পায় কিন্তু গোল করতে পারে না।
৩৬ মিনিটে সৌভিক চক্রবর্তীর সাথে ম্যাকলারেনের ঝামেলা হয়। হলুদ কার্ড দেখেন সৌভিক। এর উপর প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয় ইস্টবেঙ্গল। বক্সের মধ্যে বিষ্ণুর শট লাগে আপুইয়ার বাঁ হাতে। পেনাল্টির আবেদন করেন লাল-হলুদ ফুটবলারেরা। তবে রেফারি পেনাল্টি দেন নি। এর ফলে ইস্টবেঙ্গল শিবির ক্ষুব্ধ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ৪৬ মিনিটে বক্সের মধ্যে বল পেয়ে গেলেও বাইরে মারলেন ক্লেটন। এরপর ৬৩ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর গোলমুখী আক্রমণের সময় বাধা দিলে রেফারি ফের হলুদ কার্ড দেখান সৌভিক চক্রবর্তীকে। ফলে দুটো হলুদ কার্ড দেখে মাঠের বাইরে যান সৌভিক। এরপর খেলা একপ্রকার ঝিমিয়ে যায়। ম্যাচে অতিরিক্ত ৫ মিনিট সময় দেওয়া হলেও কোনো গোল হয়নি। ডার্বি জিতে মোহনবাগান মাঠ ছাড়লেও রেফারির মান নিয়ে ভারতের এক নম্বর ফুটবল টুর্নামেন্টে প্রশ্ন রয়েই গেলো।
এই জয়ের ফলে ১৫ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে আইএসএলের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে নিজেদের জায়গা আরও পাকা করল সবুজ-মেরুন। ১৫ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে ১১ নম্বরেই থেকে গেল লাল-হলুদ। এদিন ডার্বিতে গুয়াহাটি স্টেডিয়াম ছিল ফাঁকা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন