

আইএসএল-এর কলকাতা ডার্বিতে মোহনবাগান ফুটবলার আপুইয়ার 'বিতর্কিত' হ্যান্ডবল নিয়ে এবার মুখ খুললেন ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান রেফারিং অফিসার ট্রেভর কেটল। তিনি সাফ জানিয়ে দেন রেফারি একদম সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
গত ১১ জানুয়ারি আইএসএল ডার্বিতে মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের শুরুতেই ১-০ গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধ শেষ হওয়ার আগে মোহনবাগান বক্সের ভিতর ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার পিভি বিষ্ণুর শট আপুইয়ার হাতে লাগে। ইস্টবেঙ্গল রেফারির কাছে পেনাল্টির আবেদন জানান। কিন্তু রেফারি তা খারিজ করেন। এরপরই বিতর্ক শুরু হয়।
ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোন জানান, 'প্রতি ম্যাচে আমাদের সাথে একই ধরণের ঘটনা ঘটছে। হয় লাল কার্ড দেখে দশজনে খেলছি। নয়তো পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হচ্ছি'। কিন্তু ওটা পেনাল্টি ছিল না বলেই এবার জানালেন এআইএফএফ-র প্রধান রেফারিং অফিসার ট্রেভর কেটল।
কেটল বলেন, 'ফুটবলে হ্যান্ডবলের ব্যাখ্যা খুবই কঠিন। যাঁদের মূলত রেফারিং করার অভিজ্ঞতা নেই বা নিয়ম সম্পর্কে অবগত নন তাঁদের মধ্যে হ্যান্ডবলের ধারণা খুব কম।'
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের রেফারিরা খেলার পর একাধিকবার ফুটেজটি খতিয়ে দেখেছেন। আমিও দেখেছি। সকলেরই একই সিদ্ধান্ত যে ওটা হ্যান্ডবল ছিল না। বল যদি হাতে লাগে তাহলে আগে দেখতে হবে হাতের স্থান কোথায় ছিল। হাত যদি ঠিক জায়গায় না থাকতো তাহলে অবশ্যই হ্যান্ড বল দিতে হবে। আপুইয়ার ক্ষেত্রে হাত স্থান পরিবর্তন করেনি।'
পাশাপাশি রেফারিদের প্রধান জানিয়ে দেন, 'আমি রেফারিদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলাম কখন বা কোন কোন ক্ষেত্রে হ্যান্ডবল দিতে হবে। তাঁরা কোনও দলের পক্ষ নিয়ে ম্যাচ খেলান না। নিরপেক্ষ থেকেই ম্যাচ পরিচালনা করেন। চলতি আইএসএল-এ রেফারিরা ৮২ শতাংশ সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। আমি চাই এই সংখ্যা ৮৫ শতাংশ হোক।'
ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন VAR পদ্ধতির ব্যবহার কবে থেকে চালু করবে? এই প্রশ্নের উত্তরে কেটল জানান, 'ভারতীয় ফুটবলে VAR চালু করা ব্যয়বহুল। ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন একা সেই কাজ করতে পারবে না। ভারতীয় ফুটবলে প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য ফেডারেশন বিভিন্ন সংস্থার সাথে আলোচনা করছে। কিন্তু কবে VAR আসবে তা নিশ্চিত জানা যায়নি।'
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন