
শনিবার আইএফএ শিল্ড ফাইনাল। মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। শিল্ড জয়ের নিরিখে এগিয়ে রয়েছে লাল হলুদ। ইস্টবেঙ্গল শিল্ড জিতেছে ২৯ বার। সেখানে সবুজ মেরুন জিতেছে ২০ বার। জুনিয়রদের নিয়ে ২০১৮ সালে শেষবার শিল্ড জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেখানে মোহনবাগানের শেষ শিল্ড জয় ২২ বছর আগে, ২০০৩ সালে। লাল হলুদকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা।
বর্তমান ফর্ম-এর বিচারে ডুরান্ড কাপে ডার্বি জেতার সুবাদে মোহনবাগানের থেকে এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল। আর বর্তমানে এএফসিতে ইরানে খেলতে না যাওয়ায় বেশ ক্ষুব্ধ মোহনবাগানের সমর্থকরা। জানা যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গলে নতুন জাপানি স্ট্রাইকার হিরোশিও খেলবেন ডার্বিতে।
ইস্টবেঙ্গল কোচ বিনো জর্জ বলেন, 'আমি মোহনবাগানের বর্তমান পরিস্থিতির কথা জানি। ওদের সমর্থকরা স্টেডিয়ামে না এলে, আমাদের সাপোর্টারদের সংখ্যা বেশি থাকবে। সেটা আমাদের জন্য ভালো। তবে ওরা ডার্বিকে গুরুত্ব দেয়। তাই শক্তিশালী দল খেলাবে। ফ্যানরা প্রতিবাদ করছে ঠিকই, তবে সময় এলে ওরা প্রিয় দলকে সমর্থন করবে। আশা করছি স্টেডিয়াম ভরে যাবে।'
তিনি আরও বলেন, "আমরা প্রতিপক্ষকে সম্মান করি। ওরা অন্যতম সেরা দল। সব বিভাগে ভাল প্লেয়ার আছে। তবে আমার মনে হয়, ইস্টবেঙ্গল সেরা দল। ২৯ বার শিল্ড জিতেছে। ৩০তম খেতাবের অপেক্ষায়। শুধু প্লেয়ারদের জন্য নয়, কোচদের জন্যও ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। ডার্বি একটা আবেগ। প্রত্যেক ডার্বিতে আমরা জিততে চাই। দীর্ঘদিন পর ইস্টবেঙ্গল ভালো দল করেছে।"
উল্লেখ্য, আইএফএ শিল্ডের ডার্বির ইতিহাসে এগিয়ে আছে ইস্টবেঙ্গল। মোট ২১ বার ডার্বি জিতেছে তারা। সেখানে মোহনবাগান জিতেছে ৭টি এবং ১৩টি ডার্বি ড্র হয়েছে। তবে শেষ ১০টি ডার্বিতে পাল্লা ভারী মোহনবাগানের। শেষ ১০ ডার্বিতে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড জিতেছে ৬টি, ইস্টবেঙ্গল জয়ী হয়েছে ৩টি এবং ১টি ড্র হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন