
পাকিস্তানের বিমান হামলায় নিহত হলেন ৩ জন আফগান ক্রিকেটার সহ মোট ৮ জন আফগান নাগরিক। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। পাশাপাশি পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সাথে ত্রিদেশীয় সিরিজ বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিলেন রাশিদ খানরা।
গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত রয়েছে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান সীমান্ত। শুক্রবার সন্ধ্যায় আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশের উরগুন জেলায় বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। যার জেরে ৫ জন সাধারণ নাগরিক ছাড়াও ৩ জন ক্রিকেটারেরও মৃত্যু হয়েছে। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, নিহত তিন ক্রিকেটারের নাম কাবির, সিবগাতুল্লাহ এবং হারুন। তাঁরা স্থানীয় একটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলে বাড়ি ফিরছিলেন।
আফগান সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তান উরগুন ও বারমাল জেলায় একাধিক বিমান হামলা চালায়, যেখানে আবাসিক এলাকা লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করা হয়। ৪৮ ঘন্টা যুদ্ধ বিরতির মাঝেই পাকিস্তানের তরফ থেকে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। শনিবার দোহায় দুই দেশের মধ্যে নতুন করে আলোচনা শুরু হওয়ার কথা।
এক বিবৃতিতে এসিবি জানায়, “উরগুন জেলার সাহসী ক্রিকেটারদের শহিদ হওয়ার এই মর্মান্তিক ঘটনায় আফগান ক্রিকেট বোর্ড গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করছে। পাকিস্তানের এই কাপুরুষোচিত হামলার আমরা তীব্রভাবে নিন্দা জানাই।”
এই মর্মান্তিক হামলার পর আফগানিস্তান জানিয়েছে, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আগামী মাসে নির্ধারিত ত্রিদেশীয় সিরিজে তারা অংশ নেবে না। নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আফগান তারকা ক্রিকেটার রাশিদ খান সমাজমাধ্যমে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “এই হামলায় নারী, শিশু ও তরুণ ক্রিকেটারদের জীবন হারানো অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এরা একদিন জাতীয় দলের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখেছিল।”
রাশিদ আরও বলেন, “এ ধরণের হামলা অনৈতিক, বর্বরোচিত এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এমন অন্যায় বরদাস্ত করা যায় না।” আফগান ক্রিকেটার মহম্মদ নবি বলেন, “এই ঘটনা শুধু পাকতিকা প্রদেশ নয়, গোটা আফগান ক্রিকেট পরিবার এবং জাতির জন্য এক বড় শোক।”
এই হামলার ফলে আফগানিস্তান–পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যও উদ্বেগজনক।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন