
কলকাতা ময়দানে নজিরবিহীন ঘটনা। আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠলো খোদ সিএবির কোষাধ্যক্ষ প্রবীর চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছেন সিএবি-র ওম্বাডসম্যান, কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য। ১৯ জুলাই সিএবিতে শুনানি হওয়ার কথা। সেখানে অভিযোগকারীদের বক্তব্য এবং প্রবীরের বক্তব্য শোনা হবে।
ময়দানের শতাব্দীপ্রাচীন উয়াড়ি ক্লাবের ছয় সদস্যের অভিযোগ, উয়াড়ি ক্লাবের সচিব, যিনি আবার সিএবি-র কোষাধ্যক্ষও সেই প্রবীর চক্রবর্তী আর্থিক বেনিয়মের সঙ্গে জড়িত। লেক থানা ও আলিপুর আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই ছয় সদস্য। আলিপুর আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মৌমিতা রায় ১৮ জুন রায় দেন, এই অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে তদন্ত করতে হবে লেক থানার অফিসার ইন চার্জকে।
ওই ৬ সদস্যের অভিযোগ, সিএবিকে কালিমালিপ্ত করছেন প্রবীর চক্রবর্তী। যা নিয়ে ৩০ মে সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গাঙ্গুলিকে ৫ পাতার চিঠিও লেখেন তাঁরা। চিঠিতে লেখা হয়, সিএবি-র সংবিধান উপেক্ষা করে একইসঙ্গে দুই পদে রয়েছেন প্রবীর চক্রবর্তী (উয়াড়ি ক্লাবের সচিব ও সিএবি-র কোষাধ্যক্ষের পদ)।
প্রবীর চক্রবর্তীর সঙ্গে পিপলস রিপোর্টার যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, 'ওদের ক্লাব কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। আমি ৩ বছর আগে সিএবিতে কোষাধ্যক্ষ হওয়ার সময় ক্লাবের সচিব পদ ছেড়ে দিই। আর ক্লাব আমাদের পুড়ে গেছিল। লকডাউনে কোনও খেলা হয়নি। সেই সব ইস্যু এনে মন গড়া কথা বলা হচ্ছে। আমাকে ডাকলে প্রমাণ সহ কথা বলব।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন