
সিএবি নির্বাচন আগামী সেপ্টেম্বর মাসে। সময় যত এগিয়ে আসছে সিএবি-র একের পর এক দুর্নীতি সামনে আসছে। সিএবি কোষাধক্ষ প্রবীর চক্রবর্তী এবং যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পর ফের নতুন ঘটনা। এবার অভিযোগ সৌরভ গাঙ্গুলি ঘনিষ্ঠ অম্বরীশ মৈত্রর বিরুদ্ধে।
আইনজীবী সুমন কীর্তনীয়া সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় এবং সচিব নরেশ ওঝার কাছে অম্বরীশ মৈত্রর বিরুদ্ধে প্রমাণ সহ অভিযোগ জানান। অভিযোগ, অনূর্ধ্ব ১৩, ১৫ ও ১৮ দলের মতো সিএবি অনুমোদিত টিমে সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন অম্বরীশ। পাশাপাশি, একটি ক্রিকেট ক্লাব গঠনের নামেও অর্থ আদায় করেন। এমনকি জাল নথি তৈরির মাধ্যমেও তিনি অর্থ গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়েছে।
অম্বরীশ নিজেকে প্রভাবশালী বলে দাবি করেন আর বিভিন্ন ক্লাবে সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে উঠতি ক্রিকেটারদের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারীর দাবি, টাউন ক্লাবের সচিব দেবনিক দাসের সঙ্গে অম্বরীশের সুসম্পর্ক রয়েছে। তারই সুযোগ নিয়ে ক্লাব নির্বাচনে প্রভাব খাটানো হয়েছে।
অভিযোগপত্রের প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে রেলের সিনিয়র ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দীপক নিগম-সহ একাধিক উচ্চপদস্থ রেল আধিকারিক, সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স অফিসার, সিএবি-র ওম্বাডসম্যান, এথিক্স অফিসার, অ্যাপেক্স কাউন্সিল ও বাংলার সমস্ত প্রথম ও দ্বিতীয় ডিভিশনের ক্লাব ও প্রাক্তন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের কাছে।
অম্বরীশ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। সৌরভের সঙ্গে তাঁর বহু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে। যদিও অম্বরীশ মিত্র বলেন, “ভিত্তিহীন অভিযোগ। সামনে সিএবি নির্বাচন। আমি একটি গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ বলে আমাকে টার্গেট করা হচ্ছে। ক্লাবে কোনও অনৈতিক কাজ করিনি। ক্লাবটি তো আমার মালিকানাধীন নয়।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন