

ভারতীয় ফুটবল অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ক্রমশ পতন হচ্ছে ফিফা ক্রম তালিকাতেও। বার বার প্রশ্ন উঠছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবের ভূমিকা নিয়ে। ফের একবার কল্যাণের বিরুদ্ধে সরব হলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়া।
কবে আইএসএল হবে কেউ জানে না। এই অবস্থায় ফের কল্যাণ চৌবেকে একহাত নিলেন বাইচুং ভুটিয়া। টাটা স্টিল ২০২৫ কলকাতা ম্যারাথনের জার্সি লঞ্চ অনুষ্ঠানে বাইচুং বলেন, '২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ দেখার মোহে ফেডারেশনের চেয়ারে বসে আছেন কল্যাণ। ফেডারেশন সভাপতির টিকিটে বিশ্বকাপ না দেখা পর্যন্ত চেয়ার ছাড়ার ইচ্ছে নেই কল্যাণের। বিশ্বকাপ না দেখা পর্যন্ত উনি পদ ছাড়বেন না।'
প্রসঙ্গত ফিফা বিশ্বকাপ মাঠে গিয়ে দেখার আমন্ত্রণ পান সব ফুটবল সংস্থার সভাপতিরা। বাইচুং আরও বলেন, "ভবিষ্যতে ফেডারেশনে যদি নতুন বোর্ড আসে, তাঁদের সামনে এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ হবে। হয়তো শূন্য থেকে আবার সবকিছু শুরু করতে হবে। শেষ তিনটে বছর জাতীয় দলের পারফরম্যান্স সমর্থকদের হতাশ করেছে। বিভিন্ন কারণে পরিস্থিতি প্রতিকূল হয়েছে। তবে শীর্ষ আদালতের রায় অনেক পরে এসেছে। আমি তিন বছর ধরে সংবিধান চালুর জন্য অপেক্ষা করেছি। ফলে সংবিধান চালু নিয়ে রায়টা শীর্ষ আদালত তিন বছর আগে দিলে হয়তো পরিস্থিতি অন্য হত। এর দায় বর্তমান সভাপতি কল্যাণ চৌবেকে নিতে হবে।”
তিনি বলেন, "স্বাধীনতার পর উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে কেউ ফেডারেশন সভাপতি হয়নি। ভারতীয় ফুটবলের উন্নতিতে উত্তর-পূর্ব ভারত অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। আমি নিজের কথা বলছি না। মিজোরাম ফুটবল সংস্থার সভাপতি লালঘিংলোভা (তেতে) হমার অনেকদিন ধরে সেই রাজ্যের ফুটবলের উন্নতিতে কাজ করে চলেছেন। আর একজন অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমা খান্ডু। আমার মনে হয় এখন সময় এসেছে, উত্তর-পূর্ব ভারতীয় ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যাবে"।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন