ইউনেস্কো হেরিটেজ সাইটে জায়গা করে নিয়েছে রাজ্যের তিনটি স্থান, ঐতিহ্যে ঘেরা জায়গায় ঘুরে আসুন এই ছুটিতে

People's Reporter: ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে’ জায়গা করে নিয়েছে সুন্দরবন, দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেন এবং শান্তিনিকেতন।
দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেন
দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেনছবি - সংগৃহীত
Published on

পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক স্থাপত্য। যার মধ্যে তিনটি জায়গা স্থান পেয়েছে ইউনেস্কো হেরিটেজ সাইটে। ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে’ জায়গা করে নিয়েছে সুন্দরবন, দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেন এবং শান্তিনিকেতন।

জঙ্গল, টয় ট্রেন, ঐতিহাসিক স্থাপত্য ঘেরা বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা পাওয়া রাজ্যের সেই সব জায়গা গুলি কী ঘুরে দেখেছেন? না গেলে একবার গিয়ে ঘুরে আসুন এই পুজোতে।

সুন্দরবনঃ সুন্দরবন মানেই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার এবং ম্যানগ্রোভ অরণ্যের কথাই মাথায় আসে। ১৯৯৭ সালে এই ম্যানগ্রোভ অরণ্য বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা পায়। উইকিপিডিয়া অনুযায়ী, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন বা লবণাক্ত বনাঞ্চল এটি, যার কিছু অংশ বাংলাদেশেও অবস্থিত। এখানে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও রয়েছে হরিণ, কুমীর-সহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী। সুন্দরী গাছের নাম থেকেই এই জঙ্গলের নাম সুন্দরবন। বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত এটি। পৃথকভাবে কুমীর প্রকল্পও রয়েছে এখানে।

ক্যানিং দিয়ে সোনাখালি, ধামাখলি হয়ে যাওয়া যায়। এ ছাড়া নামখানা, রায়দিঘি, বাসন্তী হয়েও ঝড়খালি পৌঁছনো যায়।

কী কী দেখবেন?

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশপাশি ঘুরে নেওয়া যায় ঝড়খালি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্র, সজনেখালি বার্ড অভয়ারণ্য। ঘুরে নেওয়া যায়, সুন্দরবনের বিভিন্ন সৈকত ও গ্রাম।

দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেনঃ দার্জিলিং মানে টয় ট্রেন, কাঞ্চনজঙ্ঘা এবং চা বাগান। ব্রিটিশ আমলে ১৮৮১ সালে প্রথম দার্জিলিংয়ে টয় ট্রেন চলে। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত চলে এটা। সেই টয় ট্রেনের কদর এখনও কমেনি। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাতে জুড়েছে ভিস্তা ডোম কোচ। আধুনিক হয়েছে ট্রেন। ১৯৯৯-এর ২ ডিসেম্বর ইউনেস্কো দার্জিলিং থেকে ঘুম-এর মধ্যে চলা জয় রাইডকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’-এর তকমা দেয়।

কী কী দেখবেন?

ভিস্তা ডোম কোচ এই ট্রেনের মূল আকর্ষণ। শিলিগুড়ি বা মধ্যবর্তী কোনও গন্তব্য থেকেও ট্রেনে চাপতে পারেন। এখানে ঘোরার জন্য রয়েছে টাইগার হিল, ম্যাল, বাতাসিয়া লুপ, রক গার্ডেন, চিড়িয়াখানা-সহ অনেক কিছু।

শান্তিনিকেতনঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন ২০২৩ সালে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় স্থান পায়। রবীন্দ্র ভাবনা ও সাহিত্যের ছায়ায় শান্তিনিকেতনের স্থাপত্য, চিত্রকলা ঐতিহ্য স্মারক হিসাবে ইউনেস্কোর শর্ত পূরণ করছে। এছাড়া শান্তিনিকেতনে রয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।

কী কী দেখবেন?

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও রয়েছে মিউজ়িয়াম, সোনাঝুরি হাট, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি, স্থানীয় গ্রাম।

এছাড়া ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ও উত্তরবঙ্গের নেওড়া ভ্যালি জাতীয় উদ্যানের নাম প্রস্তাব করা হলেও, এখনও তা গৃহীত হয়নি।

দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেন
কোন পথে দার্জিলিংয়ের হেরিটেজ টয়ট্রেনের বেসরকারিকরণ, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় রেল বোর্ডই
দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেন
হেরিটেজ ভবন বিক্রির অভিযোগ, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে CBI তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in