কোন পথে দার্জিলিংয়ের হেরিটেজ টয়ট্রেনের বেসরকারিকরণ, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় রেল বোর্ডই

পাশাপাশি রেলভবনের অন্দরেই প্রশ্ন উঠছে, এই ইস্যুতে ক্ষুব্ধ আমজনতাকে কি সামাল দেওয়া সম্ভব হবে?
টয় ট্রেন
টয় ট্রেনছবি- সংগৃহীত
Published on

কোন কোন ক্ষেত্রের বেসরকারিকরণ করা হবে, তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন‌। বেসরকারিকরণের তালিকায় রয়েছে দার্জিলিংয়ের হেরিটেজ ট্রয়ট্রেন। কিন্তু কীভাবে এর বেসরকারিকরণ করা হবে, তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই রেল বোর্ডেরই।

রেলমন্ত্রক স্বীকার করেছে, এখনই এই ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনও রূপরেখা তৈরি হয়নি। এক্ষেত্রে ছ'মাস থেকে বছর খানেক সময় লাগতে পারে। পাশাপাশি রেলভবনের অন্দরেই প্রশ্ন উঠছে, এই ইস্যুতে ক্ষুব্ধ আমজনতাকে কি সামাল দেওয়া সম্ভব হবে? যতদিন না টয়ট্রেনের বেসরকারিকরণের নির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরি না হয়, ততদিন সাধারণ মানুষকে বোঝানোর কাজ করা যায় কি না, তা নিয়েও চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানা গিয়েছে।

দেশের পরিকাঠামো উন্নয়নে আয় বাড়াতে কেন্দ্র টয়ট্রেনের বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নিতেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়, স্টেশনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে রেলবোর্ডের দিশাহীনতা সম্পূর্ণ নতুন মাত্রা যোগ করছে। সরকারি সূত্রের খবর, ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন প্রকল্প ঘোষণার পর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত টয়ট্রেন ইস্যুতে সংশ্লিষ্ট রেল জোনের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগই করেনি রেল বোর্ড।

এই কথা মেনে নিয়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক গুণীত কৌর বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত রেল বোর্ডের পক্ষ থেকে এই ইস্যুতে আমাদের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করা হয়নি। ফলে তাদের কী পরিকল্পনা, আমরা জানি না।' দিল্লি থেকে কোনও নির্দেশ না আসা পর্যন্ত কিছু করা যাবে না বলে জানান তিনি।

জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত টয়ট্রেনের বেসরকারিকরণের ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত চুক্তিতে টয়ট্রেনের ভার কোনও কর্পোরেট সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে। ট্রেন পরিষেবা, টিকিট বিক্রির দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থার হাতেই থাকবে। ট্রেন এবং স্টেশনের ব্র্যান্ডিং ও বিজ্ঞাপনও করা হবে কর্পোরেট সংস্থার মাধ্যমেই। টয় ট্রেনের স্টেশন ব্যবহার করলেই দিতে হতে পারে অতিরিক্ত চার্জ। স্টেশন চত্বরও বাণিজ্যিক ব্যবহারের উদ্দেশ্যে ‘লিজ’ দেওয়া হতে পারে।

রেলকর্মী সংগঠনের অভিযোগ, এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আগামী ১৩ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর সারা দেশে প্রতিবাদ-সপ্তাহ পালন করা হবে। ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান রেলওয়েমেন।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in