

তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ জন বার্লা! তাঁর বক্তব্য এবং কার্যকলাপে সেই জল্পনা জোরালো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে আজ বার্লাকে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। বার্লা আগেই জানিয়েছিলেন, দিদি আশীর্বাদ করলে তাঁর সঙ্গে অবশ্যই কাজ করব। সূত্রের খবর আগামী মাসেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যেতে পারেন তিনি।
জন বার্লা পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হয়েছিলেন। তাঁকেই এবার দলে নিতে চলেছেন 'রাজ্যভাগের বিরোধিতা' করা মমতা ব্যানার্জি! আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো না হলেও একাধিক সূত্র মারফত তেমনটাই খবর। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে বিজেপির থেকে দূরত্ব বাড়াতে থাকেন জন বার্লা।
বর্তমানে উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রাক্তন সাংসদ জন বার্লাকে। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি থেকে শিলিগুড়ি এসেছেন বার্লা। তাঁর সাথে কথা বলতেও দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। তবে সরকারি অনুষ্ঠান হওয়ার কারণে এই সভায় দল বদল করবেন না তিনি। আগামী মাসে তৃণমূলে যোগ দেবেন তিনি বলে খবর।
বিজেপির সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য এই প্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমে বলেন, 'এখনও পর্যন্ত জন বার্লা বিজেপির সাথেই আছেন। তিনি কোথায় যাবেন সেটা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। হয়তো দলের সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করবেন। শুধুমাত্র লোকসভা নির্বাচনে টিকিট না পাওয়া নিয়ে যদি কেউ দলত্যাগ করেন তাহলে কিছু বলার নেই। বিজেপি নেতাতে নয় নীতিতে বিশ্বাস করে। তাঁর বদলে যাঁকে প্রার্থী করা হয়েছিল তিনিও তো জয়ী হয়েছেন।'
প্রসঙ্গত, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন জন বার্লা। বিজেপির থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলছিলেন তিনি। টিকিট না পেয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দুর অধিকারীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। জন বার্লা বলেছিলেন, "শুভেন্দু আর মনোজ টিগ্গাই মূল কালপ্রিট। শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রী হতে চান। সে জন্য চান, ওঁর হাতে বেশি সাংসদ এবং বিধায়ক থাকুন। যাতে দর কষাকষি (বার্গেন) করতে সুবিধা হয়।”
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে আলিপুরদুয়ার আসনে জয়ী হয়েছিলেন জন বার্লা। তৃণমূল প্রার্থী দশরথ তিরকেকে ২ লক্ষের বেশি ব্যবধানে পরাজিত করেছিলেন তিনি। কিন্তু ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ওই আসনে তাঁর পরিবর্তে বিজেপি প্রার্থী করে মনোজ টিজ্ঞাকে। মনোজ জয়ী হলেও জয়ের ব্যবধান অনেক কমে যায় বিজেপির।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন