

‘সরকারি চাকরী না পেলে হতাশ হবে না। চায়ের দোকানে এর থেকে বেশি আয়’ - মঙ্গলবার মালদা জেলা সফরে গিয়ে বেকার যুবকদের উদ্দেশ্যে এমনই পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর তাঁকে কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা।
জেলা সফর শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তিনি যান মালদা জেলায়। সেখানে গিয়ে চায়ের দোকান খোলার পরামর্শ দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “সরকারি চাকরী করতে গেলে কতগুলো সিস্টেম আছে। ইন্টারভিউ কল করে, আপনাদের পরীক্ষা দিতে হয়, ইন্টারভিউ দিতে হয়। তবে চিন্তা করার বা হতাশাগ্রস্ত হওয়ার কারণ নেই। একটা চায়ের দোকানে চা বিক্রি করলে, চা-বিস্কুট-ঘুগনি - ইনকাম খারাপ হয় না। চাকরির থেকে বেশি টাকা পাওয়া যায়”।
তিনি আরও বলেন, “মনে রাখবেন বাণিজ্যে বসত লক্ষী। কেউ চাকরির সুযোগ পেলে চাকরী করবেন, পলিটেকনিকের ট্রেনিং নিয়ে চাকরী করবেন। আমরা ১০ লক্ষ পলিটেকনিকের ট্রেনিং দিয়ে চাকরী করে দিয়েছি। আরও কয়েক লক্ষ চাকরী হবে খুব শিগগিরই। পড়াশোনা করুন। যোগ্যতা নিয়ে সারা বিশ্বকে জয় করুন”।
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, “উনি নিজের ভাই, ভাইপোকে কেন চায়ের দোকান করতে বললেন না? এর আগে চপের দোকান খোলার কথা বলেছিলেন। মোদীও চা বেচে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও মনে করছেন চা বলে দিয়ে হওয়া যাক মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু মোদীরও চায়ের দোকান কখনও দেখা যায়নি, মমতারও বংশের কারও চায়ের দোকান দেখা যায় না। যেটা অন্যের জন্য উপকারি বলছেন, নিজেরা সেই কাজ করে দেখাচ্ছেন না কেন?”
চায়ের দোকান খোলার পরামর্শ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীও। তিনি বলেন, “ওই দিকে দিল্লিতে এক চাওয়ালা বসে আছেন। দিদি আর এক চাওয়ালি হবে”।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন