শিয়ালদহ আদালতের রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের এই আবেদন গ্রহণযোগ্য কিনা তা নিয়ে আগামী সোমবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রাশিদির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হবে। যদিও বুধবার এই বিষয়ে আদালতে প্রশ্ন তুলেছেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। তাঁর প্রশ্ন, যেখানে নির্যাতিতার বাবা মা অথবা সিবিআই এই রায় নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে না সেখানে কীভাবে রাজ্য সরকার এই রায় চ্যালেঞ্জ করতে পারে? কারণ সিবিআই এই মামলায় দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছিল।
সিবিআই-এর বক্তব্য, রাজ্য সরকার এই মামলায় সরাসরি কোনও পক্ষ ছিলনা। সেক্ষেত্রে কীভাবে শিয়ালদহ আদালতের রায় চ্যালেঞ্জ করতে পারে রাজ্য সরকার? আদৌ কি রাজ্যের এই আবেদন গ্রহণযোগ্য? প্রশ্ন সিবিআই-এর। এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী সোমবার।
এদিন আদালতে সিবিআই আইনজীবীর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল এবং সরকারি আইনজীবী। তাদের মতে সিআরপিসি-র ধারা ৩৭৭ এবং ৩৭৮ অনুসারে রাজ্য সরকার আবেদন করতেই পারে। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, তদন্ত এবং আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। আরজি কর-কাণ্ডের মামলাটি প্রথমে রাজ্যের পুলিশ তদন্ত করে এবং পরে তা সিবিআইয়ের হাতে যায়। তাই রাজ্য এই বিষয়ে মামলা করতেই পারে।
চলতি সপ্তাহের সোমবার শিয়ালদহ আদালত আরজি কর কান্ডে দোষী সঞ্জয়ের আমৃত্যু কারাবাসের শাস্তি ঘোষণা করেছে। বিচারক অনির্বাণ দাস নির্দেশনামায় জানিয়েছেন, এই ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম বলে তিনি মনে করছেন না। যদিও এই রায় ঘোষণার পরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দোষীর ফাঁসির দাবিতে সরব হন। তিনি জানান, আরজি কর কান্ডে দোষীর ফাঁসি চেয়ে তিনি পথে নেমেছিলেন। সেদিনই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, শিয়ালদহ আদালতের এই রায় চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর মঙ্গলবার মামলা দায়ের করতে চেয়ে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাজ্য। দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মামলা দায়েরের অনুমতি দেয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন