
দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি এখনও পুরোপুরি থামেনি। তার আগেই এক রাতের বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। ভয়াবহ পরিস্থিতি দার্জিলিং, জলপাইগুড়িতে। একাধিক রাস্তায় ধস নেমে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রবল দুর্যোগে এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিভিন্ন জায়গায় তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে।
শনিবার রাত থেকে শুরু হওয়া প্রবল বৃষ্টিতে কালিম্পং এবং সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। একটানা বৃষ্টিতে ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে তিস্তা। নদীর জল বেড়ে উঠে এসেছে জাতীয় সড়কে। এলাকার একাধিক গ্রামে জল ঢুকেছে। প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গেছে মিরিক ও দুধিয়ার সংযোগরক্ষাকারী পানিঘাটা-দুধিয়া সেতু। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে মিরিক ও শিলিগুড়ির।
প্রবল বৃষ্টিতে কালিম্পং ও সিকিমের দিকে যাবার রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। রোহিণীর রাস্তার একাংশে ধস নেমে। জিটিএ-র পক্ষ থেকে এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আপাতত টাইগার হিল এবং রক গার্ডেন যাওয়া বন্ধ থাকছে। পাশাপাশি পর্যটকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
দার্জিলিং-এর পাশাপাশি জলপাইগুড়ি জেলার বিস্তীর্ণ অংশও প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত। গতকাল সারা রাতের প্রবল বৃষ্টিতে নাগরাকাটা, বানারহাট অঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বানারহাটের বিভিন্ন অঞ্চলে হাতিনালার জল ঢুকে পড়েছে। ওই অঞ্চলের একাধিক চা বাগানের শ্রমিক মহল্লায় জল ঢুকে গেছে। বন্ধ রয়েছে যানবাহন চলাচল। কিছু জায়গায় রেল লাইন জলে ডুবে রয়েছে।
জলপাইগুড়ি শহরের মহামায়া পাড়া, স্টেশন রোড, পান্ডা পাড়া প্রভৃতি অঞ্চলের একাধিক ওয়ার্ডে জল দাঁড়িয়ে গেছে। প্রবল ঝোড়ো হাওয়ার কারণে বহু জায়গায় গাছ ভেঙে পড়ে রাস্তা অবরুদ্ধ। বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। বিপদ বাড়িয়ে করলা, জলঢাকা, তিস্তার জলস্তর বেড়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন