

ব্যাঙ্ক জালিয়াতির শিকার হলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জি। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৫৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেই টাকা ফের অ্যাকাউন্টে ফিরে এসেছে বলেও জানা গেছে। এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্র সরকারকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ।
কল্যাণ ব্যানার্জির একটি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI)-র ডরম্যান্ট অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জালিয়াতি করেছে অপরাধীরা। দীর্ঘদিন কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লেনদেন বন্ধ থাকলে সেই অ্যাকাউন্টটিকে ব্যাঙ্কের পরিভাষায় ডরম্যান্ট অ্যাকাউন্ট বলা হয়। কল্যাণের এমনই একটি ডরম্যান্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে এসবিআই-র বিধানসভার উপশাখায়। এই উপশাখাটি এসবিআই-র হাইকোর্ট শাখার অধীনে।
২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক থাকাকালীন ওই অ্যাকাউন্টেই বিধায়ক হিসেবে পাওয়া ভাতা জমা পড়তো। দীর্ঘদিন সেই অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয় না। যার সুযোগ নিয়েছে প্রতারকরা। এসবিআই-র কালীঘাট শাখায় তৃণমূল সাংসদের মূল অ্যাকাউন্ট।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট শাখার ম্যানেজার কল্যাণ ব্যানার্জিকে জানান, তাঁর ছবি এবং মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে প্রথমে কালীঘাটের অ্যাকাউন্ট থেকে ডরম্যান্ট অ্যাকাউন্টে ৫৫ লক্ষ টাকা পাঠানো হয়। তারপর সেখান থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়। বিপুল পরিমাণ টাকা উধাও হওয়ায় কিছুটা হলেও হতাশ কল্যাণ ব্যানার্জি। প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষের সুরে তিনি জানান, ব্যাঙ্কে টাকা রাখলে অপরাধীরা নিয়ে নিচ্ছে আর ঘরে টাকা রাখলে নরেন্দ্র মোদী নিয়ে নেবেন।
এসবিআই একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করে এবং পূর্ণ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেয়। এরপরের দিনই কল্যাণ ব্যানার্জি জানান, এসবিআই-র পক্ষ থেকে তিনি মোবাইলে মেসেজ পেয়েছেন, তাঁর অ্যাকাউন্টে ৫৫ লক্ষ টাকা ক্রেডিট (জমা) করা হয়েছে। তবে এখনও অপরাধীদের ধরা যায়নি।
সাংসদ জানান, ‘‘আজ মানুষ এবং ঈশ্বরের আশীর্বাদে আমি এমপি বলে হয়তো টাকা ফেরত পেলাম। কিন্তু সাধারণ মানুষের কী অবস্থা ভাবুন! কেউ মেয়ের বিয়ের জন্য টাকা জমালে, তাঁর এ রকম ঘটলে কী হবে?"
কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে আঙুল তুলে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার ইডি-কে দিয়ে এত কিছু করাচ্ছে, ডিজিটাল জালিয়াতদের ধরতে কেন শাখা খুলছে না?’’
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন