SSC Scam: চাকরিহারাদের লাথি মারা বিতর্কিত পুলিশ কর্মীকেই কসবাকাণ্ডের তদন্তভার! শুরু বিতর্ক
বুধবার কসবায় আন্দোলনরত চাকরিহারা শিক্ষকদের উপর এক পুলিশ কর্মীকে লাথি মারতে দেখা গিয়েছিল। যার পর থেকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠেছিল সমালচনার ঝড়। এবার সেই পুলিশ কর্মীকেই এই ঘটনার তদন্তকারী অফিসার হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। জানা গেছে, ওই পুলিশের নাম রিটন দাস। তিনি এসআই পদে কর্মরত।
বুধবার 'যোগ্য' চাকরিহারারা জেলায় জেলায় ডিআই অফিস অভিযান করেছিলেন। কসবা ডিআই অফিসেও ছিল অভিযান। কিন্তু সেই সময় ডিআই নিজের দফতরে ছিলেন না। তালাবন্ধ ছিল দফতর। মিছিল করে সেখানে যান বিক্ষোভকারীরা। এরপরেই বাধে গোলমাল। অভিযোগ ওঠে, কেউ কেউ তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ঘটনার পর ডিআই নিজে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। লালবাজার সূত্রে জানা গেছে, সেই মামলার তদন্তকারী অফিসার হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে এসআই রিটন দাসকে।
সেদিনের সেই ঘটনার পর একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যেখানে চাকরিহারাদের উপর পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে দেখা যায়। এক ভিডিওতে এক চাকরিহারার বুকে পা তুলে দিতে দেখা যায় পুলিশকে (যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার)। পুলিশের এই ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার সেই কর্মীকেই এই মামলার তদন্তকারী অফিসার করা নিয়ে ফের বিতর্কের ঝড় উঠেছে।
অন্যদিকে, সেদিনের এই ঘটনার পর কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। জানিয়েছিলেন, পুলিশের উপর হামলা করেছেন আন্দোলনকারীরা। 'বাধ্য হয়েই হালকা বল প্রয়োগ' করতে হয়েছে পুলিশকে। লাথি মারা প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, তার আগে ও পরে কিছু ঘটনা ঘটেছে। সব খতিয়ে দেখতে হবে। পুলিশেরও ছ’জন আহত হয়েছে।
এরপর বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। সেখানে বিক্ষোভকারীদের একজনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “পেট্রোল নিয়ে আয়, জ্বালিয়ে দেব”। যদিও সেই মন্তব্য অস্বীকার করেন চাকরিহারারা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন