

শিক্ষকদের উপর পুলিশের লাথি মারা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। এরই মাঝে এই ঘটনার সাথে যাদবপুরে অধ্যাপক ওম প্রকাশ মিশ্রকে লাথি মারার তুলনা করে কবিতা লিখলেন শাসক ঘনিষ্ঠ কবি সুবোধ সরকার।
বৃহস্পতিবার ফেসবুকে সেই কবিতা পোস্ট করেন সুবোধ সরকার। তাঁর কবিতার নাম 'লাথি'। কবিতায় তিনি লেখেন, "বেরিয়ে আয়, কসবা নিয়ে/ কবিতা লেখ শালা, / ভদ্রলোক হলে।"/ লিখব,তার আগে তাহলে/ যাদবপুর হোক।/ যাদবপুরে হয়নি জ্বালা, কসবাতেই জ্বালা।/ যাদবপুর ভিয়েতনাম। / ও ফেসবুক সেন্ট হেলেনা/ সেখানে অতি রব উঠেছে /"কসবা নিয়ে কবিতা লেখ শালা"।/ যাদবপুরে কোমরে মারা লাথিটা তবে লাত্থি নয়?/ কি করে তবে কসবাতেই / সেই লাথিটা লাত্থি হয়?/ কর্মসূচি ঠিক হয়েছে / "আরও আগুন জ্বালা।"
এই কবিতা লেখার পর তিনি জানান, যাদবপুরে এক অধ্যাপককে এক ছাত্র লাথি মেরেছিল। সেটা কখনই কাম্য নয়। পুলিশও যে লাথিটা মেরেছে তাও খুব খারাপ।
প্রসঙ্গত, বুধবার 'যোগ্য' চাকরিহারারা জেলায় জেলায় ডিআই অফিস অভিযান করেছিলেন। কসবা ডিআই অফিসেও ছিল অভিযান। কিন্তু সেই সময় ডিআই নিজের দফতরে ছিলেন না। তালাবন্ধ ছিল দফতর। মিছিল করে সেখানে যান বিক্ষোভকারীরা। এরপরেই বাধে গোলমাল। অভিযোগ ওঠে, কেউ কেউ তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এক পুলিশকে আন্দোলনকারী শিক্ষকের পেটে লাথি মারতে দেখা যায়। এই ঘটনায় তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
অন্যদিকে আজ এই ঘটনায় লালবাজারের তরফ থেকে মামলার তদন্তকারী অফিসার হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে সেই বিতর্কিত পুলিশ অফিসারকেই, এসআই রিটন দাসকে।
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই প্রশাসনের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকেই। যদিও পরে জানা গেছে, চাপের মুখে এসআই রিটন দাসকে তদন্ত থেকে সরানো হয়েছে। তাঁর বদলে সঞ্জয় সিং নামের এক পুলিশ আধিকারিককে নিয়োগ করা হয়েছে বলে খবর।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন