SSC Scam: বিতর্কের মুখে চাকরিহারাদের লাথি মারা সেই পুলিশ কর্মীকে তদন্তভার থেকে সরালো লালবাজার

People's Reporter: লালবাজার সূত্রে খবর, কসবায় ডিআই অফিসের সামনে চাকরিহারাদের বিক্ষোভের সময় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী ছিলেন এসআই রিটন দাস। সে কারণেই তাঁকেই এই মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল।
SSC Scam: বিতর্কের মুখে চাকরিহারাদের লাথি মারা সেই পুলিশ কর্মীকে তদন্তভার থেকে সরালো লালবাজার
ছবি - সংগৃহীত
Published on

কসবাকাণ্ডের তদন্তভার দেওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই তদন্তের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অভিযুক্ত এসআই রিটন দাসকে। লালবাজার সূত্রের খবর, এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে এসআই সঞ্জয় সিংকে।

বুধবার 'যোগ্য' চাকরিহারারা জেলায় জেলায় ডিআই অফিস অভিযান করেছিলেন। কসবা ডিআই অফিসেও ছিল অভিযান। কিন্তু সেই সময় ডিআই নিজের দফতরে ছিলেন না। তালাবন্ধ ছিল দফতর। মিছিল করে সেখানে যান বিক্ষোভকারীরা। এরপরেই বাধে গোলমাল। অভিযোগ ওঠে, কেউ কেউ তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ঘটনার পর ডিআই নিজে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এরপর সেই মামলার তদন্তকারী অফিসার হিসাবে নিয়োগ করা হয় এসআই রিটন দাসকে।

বুধবার বিক্ষোভের সময় রিটন দাসের বিরুদ্ধে এক চাকরিহারার বুকে পা তুলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বুধবারের সেই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে (যদিও সেই ঘটনার সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার)। তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। সেই অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীকেই তদন্তভার দেওয়া নিয়ে ফের শুরু হয় বিতর্ক। বিতর্কের মাঝে তদন্তকারী অফিসার বদল করল লালবাজার।

লালবাজার সূত্রে খবর, কসবায় ডিআই অফিসের সামনে চাকরিহারাদের বিক্ষোভের সময় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী ছিলেন এসআই রিটন দাস। সে কারণেই তাঁকে এই মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল। তবে পরে তা বদলানো হয়। উল্লেখ্য, সব ক্ষেত্রেই কর্তব্যরত অফিসারকে আইও হিসাবে নিয়োগ করা হয় না। ধর্ষণ বা পকসোর মতো স্পর্শকাতর ঘটনাতে উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা আইও হিসাবে উপযুক্ত অফিসারকে সুপারিশ করে থাকেন। কসবার ক্ষেত্রেও সেই ঘটনা ঘটেছে।

অন্যদিকে, বুধবারের এই ঘটনার পর ওইদিন বিকেলেই কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। জানিয়েছিলেন, পুলিশের উপর হামলা করেছেন আন্দোলনকারীরা। 'বাধ্য হয়েই হালকা বল প্রয়োগ' করতে হয়েছে পুলিশকে। লাথি মারা প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, তার আগে ও পরে কিছু ঘটনা ঘটেছে। সব খতিয়ে দেখতে হবে। পুলিশেরও ছ’জন আহত হয়েছে।

এরপর বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। সেখানে বিক্ষোভকারীদের একজনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “পেট্রোল নিয়ে আয়, জ্বালিয়ে দেব”। যদিও সেই মন্তব্য অস্বীকার করেন চাকরিহারারা।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in