

'না পোষালে ছেড়ে দিন' - ফের একবার ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের উদ্দেশ্যে এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পাল্টা কটাক্ষ করেছেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
বকেয়া ডিএ-র দাবিতে কলকাতার শহিদ মিনারে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। তাঁদের উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার ফিরহাদ হাকিম বলেন, "ডিএ নিয়ে বিরাট বিরাট কথা হয়। কিন্তু মানুষের কাছে কোনটা বেশি জরুরি? যারা বঞ্চিত অবহেলিত তাদেরকে কিছু দেওয়া নাকি যারা পাচ্ছে তাদেরকে আরও বেশি পাইয়ে দেওয়া? বেশি পাইয়ে দেওয়াটা আমার কাছে পাপ মনে হয়। আমি বলছি, না পোষায় ছেড়ে দিন। সেন্ট্রাল গভর্মেন্ট যখন অনেক টাকা দিচ্ছে সেখানে গিয়ে যোগ দিন।"
তিনি আরও বলেন, "আমি মাল্টিন্যাশনালের কোনো বাবু নই, এক্সিকিউটিভ নই। মানুষের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে আমার মাইনে হয়। সেই টাকা দিয়ে আমি মানুষের সেবা করি। ৩%-র জায়গায় ৬% ডিএ দিতে পারলে খুশি হতাম। আর মমতা ব্যানার্জি অনেক প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষকে খুশি করছেন। আমার কাছে এটা পবিত্র কাজ। আমি মনে করি ৩% বা ৬% বা ১০% বা ৪০% ডিএ বৃদ্ধি না করে, বিভিন্ন প্রকল্প করে ঠিক করছেন মমতা ব্যানার্জি।"
ফিরহাদের এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। মঞ্চের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, "মন্ত্রী যাই বলুক না কেন ডিএ-র দাবিতে আগামী ১০ মার্চ ধর্মঘট হবেই। তখনই বুঝতে পারবেন সরকারি কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হলে পরিস্থিতিটা কেমন হতে পারে।"
ফিরহাদের মন্তব্যে প্রসঙ্গে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলন বা দাবি একদম যুক্তি সঙ্গত। এই কয়েক বছরে মুখ্যমন্ত্রীর মাইনে বেড়েছে ১৩ গুন। মন্ত্রীদের মাইনে বেড়েছে ১০-১১ গুন। বিধায়কদের মাইনে বেড়েছে প্রায় ৮-১০ গুন। কর্মচারীরা বঞ্চিত হবেন কেন তাহলে? কেন তাঁরা ডিএ পাবেন না?"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে কর্মবিরতি সম্পর্কে কলকাতার মেয়র বলেছিলেন, কিছু মানুষ লাফালাফি করছে। তাঁদেরকে কাজ করতেই হবে। না পোষালে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী হয়ে যান।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন