

তথ্য ফাঁস প্রতিরোধের জন্য সমস্ত সরকারী কর্মকর্তাদের হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ইত্যাদি ব্যবহার না করার নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র। নতুন নির্দেশিকাটি গোয়েন্দা সংস্থাগুলির পরামর্শ অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে। নতুন যোগাযোগ নির্দেশিকায় সমস্ত সরকারী কর্মকর্তাদের হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ইত্যাদি ব্যবহার না করার কথা বলা হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য সরবরাহ করার জন্য এই অ্যাপগুলি এড়িয়ে যেতে হবে। কারণ এই অ্যাপগুলির সার্ভার বিদেশের বেসরকারী সংস্থাগুলির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। ফলে তথ্যের অপব্যবহার হতে পারে। ভারত বিরোধী শক্তির দ্বারাও এই যোগাযোগ মাধ্যমগুলি ব্যবহার হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। তাই 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' (ডব্লিউএফএইচ) এর সময় কর্মকর্তাদের যোগাযোগের জন্য শুধুমাত্র ই-অফিস অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা উচিত বলে এই নতুন নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।
সমস্ত মন্ত্রককে তথ্য ফাঁস প্রতিরোধে এই ধরনের ‘জরুরি পদক্ষেপ’ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। “কোনও গোপন নথি আধিকারিকদের মোবাইল সেটে সংরক্ষণ করা উচিত নয় এবং মোবাইলের মাধ্যমে কোনও কর্মকর্তার সাথে শেয়ার করা উচিত নয় কারণ নতুন যোগাযোগ অ্যাপগুলির সার্ভার ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য এটি বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।” - নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিনিয়র কর্মকর্তা এমটাই বলেছেন।
নতুন যোগাযোগের নির্দেশিকা সমস্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রক এবং দপ্তরগুলিতে জারি করা হয়ে ইতিমধ্যেই। উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করার সময় স্মার্ট ঘড়ি বা স্মার্ট ফোন ব্যবহার না করার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও অ্যামাজনের অ্যালেক্সা, অ্যাপল হোমপড সহ বেশ কিছু ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন