

হঠাৎ হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ যাচ্ছে না বা আসছে না। ফেসবুকের নিউজফিডও রিফ্রেশ হচ্ছে না। কয়েকদিন আগে সোমবার রাতে হঠাৎই আতান্তরে পড়ে যান কয়েকশো কোটি হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক, ইন্সটাগ্রামের মতো মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহারকারী। প্রায় ছয় ঘণ্টা বন্ধ ছিল। ইন্টারনেট সংযোগ, মোবাইল ফোন অফ-অন কত কিছু করেও সমাধান মেলেনি। তারপরই জানা গেল বিভ্রাট কারুর একার হয়নি, সবার হয়েছে।
আর সেই সুযোগে একদিনে সাত কোটি গ্রাহক পেয়েছে মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম। ক্ষতির মুখে পড়লেন মার্ক জুকারবার্গ। গত মঙ্গলবার টেলিগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা পাভেল ডুরোভ এমনই তথ্য দিয়েছেন। রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, ত্রুটিপূর্ণ কনফিগারেশন পরিবর্তনে হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুক মেসেঞ্জার প্রায় ছয় ঘণ্টা ব্যবহার করতে পারেননি অন্তত সাড়ে ৩০০ কোটি ইউজার। যতক্ষণ ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম বন্ধ ছিল, ততক্ষণ বিশ্বব্যাপী মানুষ টেলিগ্রাম ব্যবহার করেন।
টেলিগ্রাম চ্যানেলে ডুরোভ লিখেছেন, যতক্ষণ ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম বন্ধ ছিল, ততক্ষণ বিশ্বব্যাপী মানুষ টেলিগ্রাম ব্যবহার করতে শুরু করেন। কোটি কোটি মানুষ উপকৃত হয়েছিলেন টেলিগ্রাম ব্যবহার করে।'
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যান্টিট্রাস্ট প্রধান মারগ্রেথ ভেস্টাগের বলেন, ফেসবুকের এই বিভ্রাট বলে দিচ্ছে, কেবল কয়েকটি বড় বড় সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নির্ভর করলেই চলবে না। বাজারে আরও অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী দরকার। টেলিগ্রামের নতুন ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে ডুরোভ বলেন, অন্যরা যেখানে ব্যর্থ হয়, সেখানে আমরা ব্যর্থ হব না।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন