
রাজস্থানের কংগ্রেস প্রধান হিসেবে শচীন পাইলটকে দেখতে চান কংগ্রেস কর্মীরা। রাহুল গান্ধীর কাছে এমনটাই আর্জি জানিয়েছেন এক কংগ্রেস কর্মী।
রবিবার রাজস্থানের রণথম্বোর জাতীয় উদ্যানে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় শেরপুর খিলচিপুর কংগ্রেস ব্লকের সভাপতি ছুট্টন লাল মীনাকে। তিনি স্পষ্টভাবে জানান, রাজ্যের নেতৃত্বে শচীন পাইলটকেই দেখতে চান কংগ্রেস কর্মীরা।
সংবাদমাধ্যমে মীনা বলেন, “রাহুলজী আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, আমরা রাজস্থানে কেমন ধরনের নেতৃত্ব চাই। আমি বিনা দ্বিধায় বলি, শচীন পাইলট। তিনি এমন একজন নেতা যিনি রাজ্যের ৩৬টি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি এবং যুব সমাজের প্রকৃত মুখ।”
তিনি আরও বলেন, “আমি রাহুলজীকে বলেছি, যতক্ষণ না শচীন পাইলটকে নেতৃত্বে আনা হচ্ছে, ততক্ষণ কংগ্রেস রাজস্থানে পুনরায় শক্তিশালী হবে না। অশোক গেহলটজী ভালো নেতা, কিন্তু তিনি ইতিমধ্যেই দু’বার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। তিনি সংগঠনের দিকে নজর দেননি, যার ফলে কেবল কয়েকজন বিধায়ক উপকৃত হয়েছেন—এতে দলের ক্ষতি হয়েছে।”
রাহুল গান্ধী ১১ থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত রণথম্বোরে ছিলেন। সফরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে ছুট্টন লাল মীনা তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তিনি গান্ধীকে সংগঠনের কাঠামো মজবুত করার পরামর্শ দেন এবং জেলা সভাপতিদের ক্ষমতায়ন নিয়ে আলোচনার জন্য ধন্যবাদ জানান।
মীনা বলেন, “আমি তাঁকে বলেছিলাম, দলের নিম্নস্তরের কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া দরকার। রাজস্থানে আগে কংগ্রেসের শক্তি কেমন ছিল তা সম্পর্কেও জানিয়েছি।”
উল্লেখযোগ্যভাবে, সাওয়াই মাধোপুরসহ পূর্ব রাজস্থানের একাধিক জেলায় ব্যাপক প্রভাব শচীন পাইলটের। দীর্ঘদিন ধরেই রাজস্থান কংগ্রেসের দুই শীর্ষনেতা অশোক গেহলট ও শচীন পাইলটের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে অস্বস্তিতে রয়েছে কংগ্রেস। নির্বাচনে পরাজয়ের পরেও দুই নেতার সম্পর্কের পরিবর্তন হয়নি। কংগ্রেস হাইকমান্ড একাধিকবার চেষ্টা করলেও তা খুব একটা লাভজনক হয়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন