
মুম্বইয়ের জনপ্রিয় ‘দ্য হ্যাবিট্যাট’ কমেডি ক্লাবে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ভাঙচুরের ঘটনায় নতুন তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। ‘দ্য ওয়্যার’-প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ভাঙচুর চালানোর সময় ঘটনাস্থলেই নাকি উপস্থিত ছিলেন একাধিক পুলিশকর্মী। কিন্তু তাঁরা কোনও পদক্ষেপই গ্রহণ করেননি।
গত ২৩ মার্চ, শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন দলের কর্মীরা কৌতুকশিল্পী কুণাল কামরার একটি অনুষ্ঠানে শিন্ডের বিরুদ্ধে রসিকতা করার প্রতিবাদে ক্লাবে হামলা চালায়। যদিও পুলিশ কামরার বিরুদ্ধে দ্রুত এফআইআর দায়ের করে, ভাঙচুরকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সময় নেয় এবং গ্রেপ্তার হওয়া ১২ জনকে দ্রুত ছেড়ে দেওয়া হয়।
'দ্য ওয়্যার'-র এক প্রতিবেদনে একটি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার বিষয়ে জানানো হয়েছে। তাদের দাবি, ক্লাবের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে ক্লাবে হামলার সময় কমপক্ষে আট থেকে দশজন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের কেউই ভাঙচুর থামাতে কোনও ভূমিকা নেননি। বরং ফুটেজে এক হেড কনস্টেবলকে জনতার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে এবং ওই স্থান ছেড়ে চলে যেতে দেখা যায়।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “পুলিশদের কেউ চা খাচ্ছিলেন, কেউ বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। মনে হচ্ছিল তাঁরা আমাদের রক্ষা করতে আসেননি, বরং জনতার অংশ হয়েই এসেছেন।”
কামরার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৩ (১)(বি), ৩৫৩ (২) ও ৩৫৬ (২) ধারায় মামলা রুজু হয়েছে, যার ফলে তাঁর তিন বছরের কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। অন্যদিকে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে যেসব ধারায় মামলা হয়েছে, তা অপেক্ষাকৃত দুর্বল বলে আইনি মহলের একাংশ মনে করছে।
কুণাল কামরার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হলেও তিনি ক্ষমা চাইবেন না বলেই জানিয়েছেন। কুণাল বলেছেন, 'আমি ক্ষমা চাইব না। তবে আদালত কোনও নির্দেশ দিলে তা মেনে চলব।' নিরাপত্তার অভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্টুডিও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনার পর শিন্ডে জানিয়েছিলেন, "একনাথ শিন্ডে খুবই সংবেদনশীল। আমার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ করা হয়, আমি কাজ দিয়ে জবাব দিই। আমি এটি (ভাঙচুর) সমর্থন করি না। তবে যা ঘটেছে তা দলীয় কর্মীদের আবেগের কারণে ঘটেছে। প্রতিটি ক্রিয়ারই একটি প্রতিক্রিয়া আছে, কিন্তু আমি এটি সমর্থন করি না।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন