

ফের ভোটার তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশন (ইসি)-এর বিরুদ্ধে সরব হলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। ভোট চুরির পর এবার ভোট চোরদেরও ধরার হুঁশিয়ারি দিলেন রাহুল।
নির্বাচনে ভোটচুরি নিয়ে লাগাতার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে চলেছে কংগ্রেস। সাংবাদিক বৈঠক করে একাধিক তথ্য তুলে ধরে ভোটচুরির স্বপক্ষে 'প্রমাণ' দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন রাহুল গান্ধী। এবার তিনি চোর ধরবেন বলে হুঁশিয়ারি দিলেন।
নিজের এক্স মাধ্যমে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে উদ্দেশ্য করে রাহুল গান্ধী লেখেন, "জ্ঞানেশজি আমরাই ভোট চুরি ধরেছি। তারপর নির্বাচন কমিশনের তালা লাগানোর কথা মনে পড়ল। এবার চোরদেরও ধরব। তাহলে এবার বলুন, কবে সমস্ত প্রমাণ সিআইডি-কে দিচ্ছেন?"
লোকসভার বিরোধী দলনেতার মতে, তারা ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগ তোলার পরই নির্বাচন কমিশন আধার-ভিত্তিক ‘ই-সাইন’ ব্যবস্থার মাধ্যমে ভোটার তালিকায় নাম যুক্ত বা বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে ফোন নম্বর যাচাইকরণ বাধ্যতামূলক করেছে।
রাহুলের দাবি, কর্ণাটকের অলন্দ বিধানসভা আসনে “ভোট চুরি”র বিষয়টি তিনি প্রকাশ্যে আনার পরেই এই পদক্ষেপ নেয় কমিশন। ওই আসনে সফটওয়্যার কারচুপির মাধ্যমে একাধিক ভোট বাতিল করার চেষ্টা হয়েছিল বলে তাঁর দাবি। তবে সিআইডি হস্তক্ষেপ করায় সেই কারচুপি ব্যর্থ হয়। এবিষয়ে ইতিমধ্যেই এফআইআর হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। রাহুলের দাবি, কমিশনকে অবশ্যই প্রমাণ সিআইডির হাতে তুলে দিতে হবে এবং সকল অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এই ঘটনাকে ঘিরে ফের বিতর্ক শুরু হয়েছে। ভোটের সততা ও কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কমিশন সূত্রে খবর, আধার-সংযুক্ত এই ব্যবস্থা ভোটার তালিকা সংক্রান্ত স্বচ্ছতা বাড়াতে এবং অপব্যবহার রোধ করতে চালু করা হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন