বিহারে বিজেপি নীতিশকুমারকে নিয়ে ‘মানসিকভাবে ক্লান্ত’ এবং তাঁকে এখন ‘বোঝা’ বলে মনে করছে বিজেপি। বুধবার বিহারে কংগ্রেস কার্যনির্বাহী কমিটির (CWC) এক বৈঠকে একথা জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। এদিন তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের ‘সোনার বিহার’-এর স্বপ্ন পূরণ করবে কংগ্রেস ও ইন্ডিয়া মঞ্চ। বিহার বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে পাটনার সাদাকাত ভবনে এদিন থেকেই শুরু হয়েছে কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক।
এদিন সভার শুরুতে কংগ্রেস সভাপতি খাড়গে বলেন, বিহার বিধানসভা নির্বাচন থেকেই মোদী সরকারের পতনের দিন গোনা শুরু হবে। এই নির্বাচন শুধু বিহারের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে না, দেশের জন্যও এক মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে।
এদিন রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ খাড়গে বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রাজ্যে চিনি শিল্পের উন্নতি করবেন। কিন্তু তার প্রতিশ্রুতি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। বিহারে বিজেপি ডবল ইঞ্জিন সরকারের কথা বলে আয়ারাম গয়ারাম সরকারকে সমর্থন দিয়েছে। তারা আয়ারাম নীতিশকেও সমর্থন করেছে, আবার গয়ারাম নীতিশকেও সমর্থন করেছে।
খাড়গে বলেন, বিহারে বেকারত্বের হার ১৫ শতাংশে পৌঁছেছে। চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা চরম দুরবস্থার মধ্যে আছেন। অথচ বিজেপি এবং নীতিশ কুমার রাজ্যে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল।
মল্লিকার্জুন খাড়গে আরও বলেন, বিহারে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল এই মুহূর্তে চরমে পৌঁছেছে। এনডিএ শরিকদের মধ্যেও প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। বিজেপি মানসিকভাবে নীতিশকুমারের কাছ থেকে অবসর নিয়েছে এবং নীতিশ কুমারকে বোঝা হিসেবে ভাবছে।
কংগ্রেস সভাপতি বলেন, দেশে অনেক সমস্যা আছে। অর্থনীতির দুরবস্থা আছে, বেকারত্ব আছে, সামাজিক বৈষম্য আছে, বিভিন্ন স্বশাসিত সংস্থার অধিকার খর্ব করা আছে। এর সবের জন্যেই দায়ী বিজেপি। আমরা বিজেপিকে সাবধান করে জানিয়ে দিতে চাই, দেশে এবং বিহারে ধর্মীয় মেরুকরণ, সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি চলবে না। কংগ্রেস এর প্রতিরোধ করবে।
এদিন নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে ওঠা সাম্প্রতিক বিতর্ক বিষয়ে তিনি বলেন, ভোট চুরির অর্থ রেশন চুরি, পেনশন চুরি, ছাত্রদের স্কলারশিপ চুরি, দলিতদের, পিছিয়ে পড়া মানুষদের অধিকার চুরি। কংগ্রেস যখন এই অভিযোগ তুলেছে তখন বলা হচ্ছে হলফনামা জমা দিতে। অথচ এখন বিভিন্ন রাজ্য থেকে ভোট চুরির অভিযোগ উঠছে। দেশ জুড়ে ভোটারদের নাম বাতিল করার জন্য এক বড়ো চক্রান্ত হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন