

বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে আসন সমঝোতা নিয়ে ফের একবার সুর চড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা লোক জনশক্তি (রামবিলাস) পার্টির প্রধান চিরাগ পাসোয়ান। তাঁর দাবি এলজেপি(রামবিলাস)-র জন্য সম্মানজনক আসন ছাড়তেই হবে এনডিএ শিবিরকে।
আগামী নভেম্বর মাসে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা। তার আগে আসন-বন্টন নিয়ে আশাবাদী চিরাগ পাসোয়ান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের দলকে সম্মানজনক সংখ্যক আসন দিতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা কোনো সমঝোতা করব না”।
বিহারের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিজেপির পক্ষ থেকেও চিরাগ পাসোয়ানকে দূরে ঠেলে দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ বিগত লোকসভা নির্বাচনে নিজের কোটার ৫টি আসনেই জয়লাভ করেছে চিরাগ পাসোয়ানের দল। ভোট পেয়েছে ৬.৪৭ শতাংশ। সেই ফলাফল অনুসারে সাদামাটা হিসেবে কমপক্ষে ৩৫ আসন চিরাগের প্রাপ্য। যদিও ২৩৪ আসনের মধ্যে একা চিরাগ পাসোয়ান ৩৫ আসন নিয়ে নিলে অন্য শরিকদের আসন নিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে এনডিএ শিবিরকে।
গতবার নির্বাচনে বিহারে এনডিএ শিবিরে আসন নিয়ে এই সমস্যা ছিল না। কারণ গত বিধানসভা নির্বাচনে জেডিইউ এবং বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল যথাক্রমে ১১৫ ও ১১০ আসনে। এছাড়া বিকাশশীল ইনসান পার্টি এবং হিন্দুস্তান আওয়ামী মোর্চা ৭ ও ১১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। সেবার এনডিএ-এর বাইরে থেকে ১৩৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল চিরাগ পাসোয়ানের দল। মাত্র ১ আসনে জয়ী হলেও তাঁর দলের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৫.৬৬ শতাংশ।
অন্যদিকে, বিজেপি খুব শীঘ্রই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে বৈঠক ডাকবে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, কয়েকজন বর্তমান বিধায়ককে বাদ দেওয়া হতে পারে।
গত সপ্তাহে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ও জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার পাটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র সঙ্গে বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই এনডিএর আসন-বন্টন নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, বিহারে বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২২ নভেম্বর। তার আগেই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। ২৮ অক্টোবর ছট পুজো। বিহারের সবথেকে বড় উৎসব হল ছট পুজো। তারপরই নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার আগামী সপ্তাহে বিহার সফরে যাবেন। সেখানে তিনি ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন এবং ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। তারপরই সম্ভবত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন